বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের শিরোনামে আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজে। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের পর গতকাল কাজে যোগ দিতে যান আর জি করের সাসপেন্ডেড চিকিৎসক পড়ুয়ারা। তবে সেখানে নাকি তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাদেরকে। সকাল দশটার মধ্যে আরজি করে সবাই পৌঁছে গেলেও অধ্যক্ষ তাদের সঙ্গে দেখা করেন দুপুর দেড়টা নাগাদ দেখা করেন বলে জানান তারা। এই চিকিৎসকদের অভিযোগ, সেই সময় অনিকেত মাহাতোর নেতৃত্বে রেসিডেন্স ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা তাদেরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। চলে লাগাতার স্লোগান।
সাসপেন্ডেড ডাক্তারদের অভিযোগ, তাদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বললেও, অধ্যক্ষ নাকি পরে আর ডি-এর লোকজনকে বলেছেন যে তাদেরকে কাজে যোগ দিতে দেবেন না। এই ইসুতেই এদিন স্বাস্থ্য ভবনে এসে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে দেখা করছেন সাসপেন্ডেড ডাক্তাররা। আগেই তারা দাবি করেছিলেন যে তারাই উল্টে ‘থ্রেট কালচারের’ শিকার। এদিনও সেই একই দাবি নিয়ে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে দেখা করেন তারা।
যাতে কোনো বাধা ছাড়াই তারা অবিলম্বে কাজে যোগ দিতে পারেন সেই বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতর এবং স্বাস্থ্য সচিব খতিয়ে দেখার আরজি জানান তারা। এই সাসপেনশনের জেরে গত ১৫ দিন ধরে তারা অনুপস্থিত থাকতে বাধ্য হয়েছেন তাই তার অ্যাটেনডেন্স এবং স্যালারি যাতে তারা পান সেই দাবিও জানিয়েছেন তারা। এখানেই শেষ নয়, পাশাপাশি আর জি করের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতোর (Aniket Mahato) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তারা।
তাদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নবান্নের বৈঠকে অনিকেত মাহাতো যেভাবে গোটা রাজ্যের সামনে যেভাবে তাদের ‘ন্যটোরিয়াস ক্রিমিনাল’ এবং ‘পচা ছেলে’ বলেছেন তার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন সাসপেন্ডেড চিকিৎসকরা। তাদের অভিযোগ, কোন প্রমাণ ছাড়াই, তাদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। তারা মানহানির নোটিশ পাঠিয়েছেন অনিকেতকে। পাশাপাশি তিন দিনের মধ্যে অনিকেত সর্বসম্মুখে তাদের সামনে ক্ষমাপ্রার্থনা না চাইলে তারা আইনি পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’! এরই মাঝে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী, ধন্য ধন্য করছে সকলে
প্রসঙ্গত, আর জি কর (RG Kar) হাসপাতালে থ্রেট কালচার বা হুমকি সংস্কৃতি চালানোর অভিযোগে গত সেপ্টেম্বর মাসে ৫১ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করে দেয় হাসপাতালের কলেজ কাউন্সিল। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি কৌশিক চন্দের অবকাশকালীন বেঞ্চে এই মামলা উঠলে সাসপেনশন কার্যকরী নয় বলে জানানো হয়। হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, সাসপেনশন নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকারই। যতদিন পর্যন্ত রাজ্য এই নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে না আসছে, ততদিন পর্যন্ত এই ৫১ জনকে সাসপেন্ড করে যে রেজোলিউশন নেওয়া হয়েছিল, তা কার্যকরী হবে না।