বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ দেড় মাস পর সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল কলকাতার আরজি কর (RG Kar) মামলার। শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা চলার পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টেও আরজিকর কাণ্ডের মামলা শোনা হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এই সুপ্রিম নির্দেশের পর আপাতভাবে স্বস্তি পেয়েছেন তিলোত্তমার বাবা-মা। শুনানি শেষে সোমবার রাতেই কলকাতায় ফিরে এসেছেন তাঁরা।
আরজি কর (RG Kar) মামলায় সুপ্রিম’ রায়ের পর কি বললেন তিলোত্তমার বাবা-মা?
কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিলোত্তমার বাবা এদিন বললেন, ‘আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছিলাম। সেই সময় কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। তাই এবার আমাদের যে প্রশ্নগুলো রয়েছে সেগুলো আমরা কলকাতা হাইকোর্টের কাছেই করতে চাই। আগামীদিনে এর ফলে আমাদের উত্তর পেতে সুবিধা হবে। এই কারণেই আমরা চাইছিলাম সুপ্রিম কোর্ট থেকে আমাদের মেয়ের কেসটা (RG Kar) কলকাতা হাইকোর্টে আসুক।’
সুপ্রিম নির্দেশের পর এদিন মুখ খুলেছিলেন নির্যাতিতার মা। তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার মেয়ের ওই রক্তাক্ত দেহ দেখে শপথ নিয়েছিলাম বিচার না আসা পর্যন্ত মাথার চুল আঁচড়াবো না। এখন আমাদের লড়াইটা আরও বড়। তবে এই লড়াইয়ে আমি পাশে পেয়েছি পুরো পৃথিবীর মানুষকে।’ তবে একইসাথে তিনি জানিয়েছেন এই আন্দোলন আরো জোরদার করতে হবে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতিতে জর্জরিত! এবার নিয়োগ মামলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে তলব করল ED
আরজি কর (RG Kar) মামলার শুনানির আগে তিলোত্তমার বাবা-মায়ের সাথে আগেই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন বহু সিনিয়র এবং জুনিয়র চিকিৎসকরা। বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এদিন সিনিয়র চিকিৎসক মানস গুমটা জানান, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে খুশি। কারণ অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া এখনও বাকি। সিবিআই-এর কাছে মানুষ অনেক কিছু আশা করেছিলেন। কিন্তু সেখানে তারা সবাই হতাশ হয়েছে। তবে আশা করছি পশ্চিমবঙ্গে আবার শুনানি শুরু হলে আমরা আমাদের প্রশ্নের উত্তর গুলো পেতে পারি।’
অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সিনিয়র চিকিৎসক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের কাছে কৃতজ্ঞ প্রশ্নের উত্তর গুলো এবার পাব বলে আশা করছি। আমাদের আশা দ্রুত তদন্ত শেষ করে বিচার হবে। এদিন তিলোত্তমার বাবা মায়ের সাথে দিল্লি গিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসক আশফাকুল্লা নাইয়া। তিনি এদিন জানিয়েছেন, ‘প্রথম থেকেই এই আন্দোলনকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একদল যারা বিচার চাইছে। অন্যদল বিচার যাতে না-হয় তার জন্য বাধা সৃষ্টি করছে। সমাজের বহু মানুষ এই বিচার চাইতে রাস্তায় নেমেছিলেন। এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা আসায় তাঁরা হতো শক্তি পাবেন। প্রশ্নগুলোর এবার খোলাসা হবে।’