শুনানির আগেই ঘুরে গেল মোড়! আরজি কর কাণ্ডে এবার CBI নজরে তৃণমূলের ২ ‘হেভিওয়েট’ নেতা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর জি কর ( RG Kar) হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় (Doctor Rape and Murder Case) উত্তাল গোটা দেশ। আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা শুনানির জন্য উঠবে। তবে তার আগেই বড়সড় তথ্য সামনে আনল সিবিআই (CBI)। আগেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। আর তারপরই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছেন গোয়েন্দারা। তিলোত্তমা হত্যার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তবে এবার সিবিআই-এর নজরে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) দুই প্রভাবশালী নেতা। এমনটাই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।

চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এবার সিবিআই স্ক্যানারে তৃণমূলের ২ ‘হেভিওয়েট’ নেতা। একজন বিধায়ক এবং একজন কাউন্সিলর। রিপোর্ট অনুযায়ী তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ তড়িঘড়ি দাহের নেপথ্যে ছিল এই দুই নেতার হাত। মৃতার পরিবার তরফে বারংবার দাবি করা হয়েছে, মেয়ের দেহ পোড়ানোর জন্য তাড়াহুড়ো করেছিল পুলিশ। এবার যাতে দ্বিতীয়বার দেহ ময়নাদন্ত না করা হয়, তার জন্যেই কী দুই তৃণমূল নেতারও।তৎপরতা ছিল? ঘেঁটে দেখছে সিবিআই।

এর আগে গত ৪ তারিখ নির্যাতিতার দাদা বলেন, “বডিটা বের করার সময় প্রশাসনকে অনেকবার বারণ করেছিলাম। আপত্তি ছিল। একটু সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু দেয়নি। বডিটা বের করার জন্য বা, দাহ করা জন্যই এত কী তাড়া ছিল। আমাদের সময় দেয়নি প্রশাসন। কোনো সুযোগ দেয়নি।”
সূত্রের খবর ঘটনার দিন (৯ অগস্ট) বিকেল ৪টের পরে এক তৃণমূল বিধায়কের মোবাইলে এক সাংসদের ফোন আসে।

সেই ফোন পাওয়ার পর ওই বিধায়ক আর এক কাউন্সিলর এবং ওই এলাকার একাধিক রাজনৈতিক কর্মীকে ফোন করেন। সেই নেতা নির্যাতিতার পরিবার পরিজন এবং পরিচিত সহকর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন বলে জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে যতক্ষণ না চিকিৎসকের মৃতদেহ দাহ হয় ততক্ষন পর্যন্ত নাকি বিধায়কের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন শ্মশানের আশপাশেই ছিল।

আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি, মাথায় হাত সকলের

গোটা রহস্যের কিনারা করতে একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। মেয়েকে দাহ করার সময় কারা শ্মশানে ছিল সেই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তিলোত্তমার পরিবারকেও। ঘটনাস্থলে সেদিন যারা যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের তালিকা তৈরি করে নাম ধরে ধরে মোবাইল টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

RG Kar Hospital

সিবিআই সূত্রে খবর, ফরেন্সিক রিপোর্টের ভিত্তিতে যে চার্জশিট গঠন করা হয়েছে তাতে কেবলমাত্র সিভিক সঞ্জয় রায়ের নামেরই উল্লেখ থাকবে। কারণ ডিএনএ রিপোর্টে শুধু তারই ডিএনএ মিলেছে। যদিও পলিগ্রাফ টেস্টে সঞ্জয়ের দাবি, চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার সঙ্গে সে জড়িত নয়। সে যখন সেমিনার রুমে পৌঁছেছিল, তখন চিকিৎসকের দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সেখানে। যদিও চিকিৎসক খুনের ঘটনায় একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার আশঙ্কাই করা হচ্ছে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর