বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডে (bollywood) মাদক (drugs) চক্রের বড়সড় হদিশ নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (NCB) হাতে। জেরায় বলিউডের ২০-২৫ জন তারকার নাম ফাঁস করে দিয়েছেন যারা নিয়মিত মাদক নিতেন বলে দাবি করেছেন রিয়া চক্রবর্তী (rhea chakraborty)। এই তালিকায় রয়েছে বলিউডের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির তারকারা। তাদের সঙ্গে রিয়া ও শৌভিকের যোগাযোগও ছিল বলে জানা গিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের মাধ্যমে।
মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় রিয়া চক্রবর্তীকে। মাদক চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে NCB। বিকেল ৪টে নাগাদ মেডিক্যাল টেস্ট করাতে নিয়ে যাওয়া হয় রিয়াকে। জানা গিয়েছে, তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
প্রথমে শোনা গিয়েছিল চার অভিযুক্তকে তাদের কাস্টডিতে রাখার জন্য আদালতে আপিল করবে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। তাদের আরও জেরা করা হবে বলে খবর। কিন্তু পরে NCB আধিকারিক জানান, রিয়াকে তাদের হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিয়াকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে মাদক মামলায় গ্রেফতার করেছে NCB। তাদের মধ্যে রয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী, শৌভিক চক্রবর্তী, স্যামুয়েল মিরান্ডা, দীপেশ সাওয়ান্ত, কাইজান ইব্রাহিম, জায়েদ ভিলতারা, আব্বাস লাখানি, করন অরোরা, আব্দুল বসিত পরিহার। নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস অ্যাক্ট এর আওতায় ২০, ২৭ ও ২৯ সেকশনে মামলা দায়ের হয়েছে এই ৯ জনের বিরুদ্ধে।
সুশান্ত সিং রাজপুত মামলায় মাদক যোগে অভিযুক্ত হিসাবে রবিবার থেকে টানা রিয়া চক্রবর্তীকে জেরা চালিয়েছে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। রিয়ার বাড়িতে হানা দেয় NCBর তদন্তকারী অফিসারদের একটি টিম। বাজেয়াপ্ত করা হয় রিয়ার ল্যাপটপ।
সেই ল্যাপটপ থেকেই একাধিক সূত্র পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। জেরার মুখে রিয়া স্বীকারও করে নিয়েছেন যে ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকে দিয়েই মাদক আনাতেন তিনি। তিনি নিজেও মাদক সেবন করতেন বলে স্বীকার করে নিয়েছেন রিয়া।
সোমবার জেরায় রিয়া ২৫ জন বলিউড তারকার নাম নিয়েছেন যারা নিয়মিত মাদক সেবন করেন। সেই বলিউড তারকাদের নাম প্রকাশ্যে আনা না হলেও জানা গিয়েছে তাদের উপরেও নজর রেখেছে NCB। তাদেরও সমন পাঠানো হতে পারে বলে খবর।
সোমবারের জেরায় আরও এক কাণ্ড ঘটান রিয়া। সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কা সিংয়ের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনে মুম্বই পুলিসে মামলা দায়ের করেন রিয়া চক্রবর্তী।
সুশান্তকে ‘ভুয়ো প্রেসক্রিপশন’ দিয়েছিলেন দিদি প্রিয়াঙ্কা সিং। এই মর্মে প্রিয়াঙ্কা, রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের চিকিৎসক তরুন কুমার ও আরও কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মুম্বই পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন রিয়া। অভিযোগে তিনি দাবি করেন এরাই সুশান্তের জন্য ভুয়ো প্রেসক্রিপশন এনে দিতেন। ওই ভুয়ো প্রেসক্রিপশন পাওয়ার ৫ দিনের মধ্যেই সুশান্তের মৃত্যু হয় বলে দাবি করেন রিয়া।
৮ জুন সুশান্ত ও তাঁর দিদি প্রিয়াঙ্কার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতেই এই অভিযোগ দায়ের করেন রিয়া। ওইদিনই সুশান্তকে ছেড়ে চলে আসেন তিনি। ওই চ্যাট থেকে জানা যায় সারা সপ্তাহ জুড়ে সুশান্তকে নানা সাইকোট্রপিক ড্রাগ নিতে বাধ্য করেন দিদি প্রিয়াঙ্কা।