বাংলাহান্ট ডেস্ক: আফগানিস্তানের তালিবানি শাসন দেখে হতবাক অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী (rhea chakraborty)। একটি দেশের রাজপথে, প্রেসিডেন্ট হাউসে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদীরা। ভেঙে পড়েছে শাসনব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা। দেশের প্রেসিডেন্ট আগেই পালিয়েছেন দেশ ছেড়ে। ইতিমধ্যেই মহিলাদের উপর একাধিক ফতোয়া জারি হয়েছে বলে খবর। অথচ বিশ্বের তাবড় শক্তিশালী রাষ্ট্র এ ঘটনায় চুপ।
মাত্র দুদিনেই ঘটে যাওয়া একের পর এক ভয়াবহতা দেখে বাকরুদ্ধ রিয়া। বিশ্বের শক্তিধর নেতাদের এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে রিয়া লিখেছেন, ‘সারা বিশ্বে যখন মহিলারা সমান বেতনের অধিকারের জন্য লড়ছে, আফগানিস্তানে তখন বেচে দেওয়া হচ্ছে মহিলাদের। তারাই এখন বেতন হয়ে গিয়েছে। আফগানিস্তানে মহিলা ও সংখ্যালঘুদের অবস্থা দেখে ব্যথিত। বিশ্ব নেতাদের রুখে দাঁড়ানোর আবেদন জানাচ্ছি। মহিলারাও মানুষ।’
দুদিন আগে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করেছে তালিবানরা। বিনা রক্তপাতে ক্ষতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি পালিয়েছেন দেশ ছেড়ে। আবারো ২০ বছর আগের সেই অন্ধকার দিন ফিরতে চলেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন মানুষ।
আফগানিস্তানের উপর দিয়ে আর কোনো বিমান চলবে না, ঘোষনা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তালিবানি শাসন এড়াতে দেশ থেকে পালাতে গিয়ে বিমানের চাকায় উঠতে দেখা গিয়েছে আফগানিদের। মাঝ আকাশে বিমানের চাকা থেকে খসে নীচে ছিটকে পড়েছে জীবন্ত মানুষ! মাত্র দুদিন, এর মধ্যেই আফগানিস্তানের অবস্থা দেখে শিউরে উঠছে বিশ্ববাসী।
শোনা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই সেখানে বেশ কিছু ফতোয়া জারি হয়েছে মহিলাদের উপর। শরীর চাপা পোশাক, পা খোলা জুতো পরা ‘অপরাধ’। সঙ্গে পুরুষ ছাড়া বাইরে বেরোনো বন্ধ মহিলাদের। আফগানিস্তানে কর্মরত এক মহিলা সাংবাদিকের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়, হেরটের অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে মহিলাদের। অবিবাহিত মহিলাদের খুঁজে খুঁজে প্রথমে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছে তালিবান। রাজি না হলে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মহিলাদের। পরিস্থিতি যাতে আর করুণ না হয় সে জন্যই আর্জি জানালেন রিয়া।