বাংলাহান্ট ডেস্ক: জেলের বাইরে বেরিয়েও শেষরক্ষা হল না। দু বছর আগেকার সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput) মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত মাদক মামলায় নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর চার্জশিটে নাম উঠল রিয়া চক্রবর্তীর (Rhea Chakraborty)। প্রয়াত অভিনেতাকে জোর করে মাদকের নেশা ধরানোর মতো গুরুতর অবিযোগ আনা হয়েছে রিয়ার বিরুদ্ধে।
সুশান্ত মামলায় অভিযুক্তক্ত ৩৫ অভিযুক্তের জন্য ৩৮ টি চার্ট ইনি। চার্জশিটে রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, বিভিন্ন সময়ে মাদক পাচারকারী স্যামুয়েল মিরান্ডা, আপন ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর কাছ থেকে গাঁজা আনাতেন তিনি। সেসবের দামও দিতেন রিয়াই। গাঁজাগুলো তারপর দেওয়া হত সুশান্তকে। একাধিক আইনে মামলাও দায়ের হয়েছে রিয়ার বিরুদ্ধে।
কিছুদিন আগে রিয়া এবং শৌভিকের বিরুদ্ধে মুম্বই এর এক বিশেষ আদালতেঅভিযোগ আনা হয়েছিল NCBর তরফে। জানা গিয়েছিল, রিয়া ও তাঁর ভাই শৌভিকের বিরুদ্ধে মাদক সেবন এবং প্রয়াত সুশান্তকে মাদক কিনে দেওয়ার অভিযোগ আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল আদালতের কাছে। আইনজীবী জানিয়েছিলেন, অভিযুক্ত সকলের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগ আনার কথা ছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে থেকে কয়েকজন জামিনের আবেদন করায় সেটা তখন সম্ভব হয়নি। সেদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন রিয়া, শৌভিক সহ বাকিরাও।
২০২০ সালের ১৪ জুন প্রয়াত হন সুশান্ত। অভিনেতার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন রিয়া। অভিনেতার মৃত্যুর আগেও এ কথা সর্বসমক্ষে স্বীকার করেছিলেন দুজনেই। সুশান্তের মৃত্যুর পর সিংহভাগ ক্ষোভ গিয়ে পড়েছিল রিয়ার উপরে। অভিনেতার হত্যার ষড়যন্ত্র এবং আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। মাদক কাণ্ডে জেলও খেটেছিলেন রিয়া।
সুশান্তের মৃত্যুর পর রিয়া, তাঁর ভাই শৌভিক সহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে ছেলেকে খুন করার অভিযোগ আনেন সুশান্তের বাবা। তদন্তের ভার যায় সিবিআই এর হাতে। পাশাপাশি তদন্ত চালাতে থাকে ইডি এবং NCB। উঠে আসে মাদক কাণ্ডের দিক। গ্রেফতার করা হয় রিয়া, শৌভিককে। ২৮ দিন জেলে কাটিয়ে ছাড়া পেয়ে পেয়েছিলেন রিয়া। তবে সুশান্তের মৃত্যু খুন ছিল নাকি আত্মহত্যা তা এখনো জানায়নি সিবিআই।