বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের (sushant singh rajput) মৃত্যু মামলায় একের পর এক অভিযোগে বিদ্ধ হচ্ছেন রিয়া চক্রবর্তী (rhea chakraborty)। প্রথম থেকেই নেটিজেনের সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি সুশান্তের বাবা কে কে সিং পাটনায় রিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক বিষ্ফোরক অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের করলে আরও বিপাকে পড়েন রিয়া।
ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, সুশান্তের ল্যাপটপ, হার্ডডিস্ক ও ফোন নিয়ে কার্যত নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছেন রিয়া। তাঁর আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করে বলেছেন, রিয়াকে এই মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। পাটনা থেকে মামলার তদন্ত মুম্বইতে স্থানান্তরিত করার আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।
এবার একটি ভিডিও বার্তা শেয়ার করেছেন রিয়া চক্রবর্তী। সেখানে চোখে জল নিয়ে রিয়াকে বলতে শোনা যায় সত্যিটা সামনে আসবেই। রিয়া বলেন, ‘ঈশ্বর ও দেশের বিচারব্যবস্থার উপর যথেষ্ট ভরসা রয়েছে আমার। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে নিয়ে অনেক খারাপ কথা ছড়ানো হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি আমি সুবিচার পাব। সত্যমেব জয়তে। সত্যিটা সামনে আসবেই।’ এই ভিডিওটি এখন ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়।
#WATCH: Rhea Chakraborty releases video on #SushantSinghRajputDeathCase.
She says, "I've immense faith in God & the judiciary. I believe that I'll get justice…Satyameva Jayate. The truth shall prevail." pic.twitter.com/Fq1pNM5uaP
— ANI (@ANI) July 31, 2020
সম্প্রতি সুশান্তের দিদি মিতু বিহার পুলিসকে জানান, বেশ কয়েক মাস আগে সুশান্তের বাড়ির পরিচারক তাঁকে অভিযোগ রিয়া কালা যাদু করেন সুশান্তের উপর। শুধু তাই নয়, অভিনেতাকে ভূতের ভয়ও দেখানো হত বলে অভিযোগ উঠেছে রিয়ার বিরুদ্ধে। সুশান্তের আগের ফ্ল্যাটে ভূত রয়েছে, এমনই দাবি করে তাঁকে ওই ফ্ল্যাট ছাড়তে বাধ্য করেন রিয়া। চার্টার রোডের ফ্ল্যাটে সুশান্ত ও রিয়ার সঙ্গে রিয়ার মাও এসে থাকতেন বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, অভিনেতার মৃত্যুর পরপর মুম্বই পুলিসের জেরায় রিয়া দাবি করেছিলেন সুশান্তের বান্দ্রার আগের ফ্ল্যাটটি ‘ভূতুড়ে’ ছিল। তিনি জানান, ওই ফ্ল্যাটে থাকার সময় বহুবার তিনি অস্বাভাবিক কিছুর অস্তিত্ব টের পেয়েছেন। সুশান্তও ছিলেন এই সব ঘটনার ভুক্তভোগী। তাই তাঁরা বান্দ্রার ওই ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে আসেন চার্টার রোডের একটি অ্যাপার্টমেন্টে।
রিয়া জানান, এই বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে একটি বেডরুমের সঙ্গে তিন তিনটি হলঘর ছিল। মাসে সাড়ে চার লক্ষ টাকা ভাড়া দিতে হত সুশান্তকে এই অ্যাপার্টমেন্টের জন্য। আগে রিয়া জানিয়েছিলেন, অভিনেতার মৃত্যুর দিন কয়েক আগে তাঁর সঙ্গে ঝগড়া করে তাঁর ফ্ল্যাট ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি।
অভিনেত্রী আরও দাবি করেন, সুশান্তকে একা ওই ফ্ল্যাটে রেখে আসার ইচ্ছা ছিল না তাঁর। কিন্তু তাঁকে একা থাকতে দেওয়ার জন্যই এমনটা করতে বাধ্য হন রিয়া।
প্রসঙ্গত, রিয়ার বিরুদ্ধে করা এফআইআরে সুশান্তের বাবা কে কে সিং অভিযোগ করেছেন অভিনেতার একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ কোটি টাকা অন্য একটি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন রিয়া। মোট ১৭ কোটি টাকা হাপিস করে দেন তিনি। সুশান্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস থেকে জানা গিয়েছে রিয়া ও তাঁর পরিবারের যাবতীয় খরচ দিতে হত অভিনেতাকেই।
উপরন্তু রিয়া সুশান্তকে বোঝান তাঁর মানসিক সমস্যা হয়েছে। জোর করে তাঁকে ওষুধের ওভারডোজ দিয়ে রাখা হত বলে অভিযোগ করেন অভিনেতার বাবা। পরিবারের থেকে তাঁকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। একাধিক বার সিম কার্ড বদলানো হয়েছিল সুশান্তের। কিন্তু এর কোনওটাই অভিনেতার পরিবারকে জানিয়ে রিয়া করেননি বলে অভিযোগ করেন সুশান্তের বাবা কে কে সিং।