বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুত (sushant singh rajput) মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার ইডির (ED) দফতরে হাজিরা দেন রিয়া চক্রবর্তী (rhea chakraborty)। সুশান্ত মামলায় আর্থিক তছরূপ সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে খবর। রাত আটটার পরেও এখনও পর্যন্ত ইডির দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে রিয়া ও তাঁর ভাই সৌভিক চক্রবর্তীকে।
জানা গিয়েছে ইডির তরফে দুদিন আগেই রিয়াকে সম্পত্তি সংক্রান্ত নথিপত্র জমা দিতে বললেও তিনি তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। উপরন্তু তিনি বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তরেই বলছেন, তিনি কিছু জানেন না। সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদী ও রিয়ার চার্টার অ্যাকাউন্ট্যান্ট রিতেশ শাহ আট ঘন্টা জেরার পর চলে গিয়েছেন দফতর থেকে।
Mumbai: Shruti Modi leaves from Enforcement Directorate (ED) office after questioning in #SushantSinghRajput's death case. She is the actor's former business manager.
Rhea Chakraborty is still inside the premises of the ED office, she is being questioned by the agency. pic.twitter.com/vTNHBNCjVx
— ANI (@ANI) August 7, 2020
ইডির তরফে দুদিন আগেই রিয়াকে সম্পত্তি সংক্রান্ত নথিপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি বলেন, সেই সব নথিপত্র তাঁর চার্টার অ্যাকাউন্ট্যান্টের কাছে রয়েছে। অপরদিকে চার্টার অ্যাকাউন্ট্যান্ট দাবি করেন সেসব রিয়ার কাছে রয়েছে। আরও জিজ্ঞাসাবাদের পর রিয়া জানান, সম্পত্তির নথিপত্র তিনি কোথায় রেখেছেন তা তাঁর মনে নেই।
#SushantSinghRajputDeathCase: Centre moves Supreme Court in an impleadment application asking to be made a party in the case.
— ANI (@ANI) August 7, 2020
অপরদিকে রিয়া ও তাঁর ভাই সৌভিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস থেকে জানা গিয়েছে, সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরাসরি জমা হত সৌভিকের অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকে তা যেত রিয়ার কাছে। সূত্র মারফত খবর, ইডির তরফে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে যার কোনও উত্তর দিতে পারেননি রিয়া।
১. রিয়ার বাবার ঠিকানা ও তাঁর কোম্পানির ঠিকানা এক কিকরে?
২. সম্পত্তি কেনার টাকা কোথা থেকে পেয়েছিলেন রিয়া?
৩. কোম্পানিতে রিয়া ও সৌভিকের কাজটা ঠিক কি?
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই প্রকাশ্যে এসেছে রিয়ার ফোন কল ডিটেলস। সেখান থেকেই উঠে এসেছে এক বিষ্ফোরক তথ্য। এক সংবাদ মাধ্যমের দাবি, সুশান্তের মৃত্যুর পর মুম্বই পুলিসের ডিসিপি অভিষেক ত্রিমুখীর সঙ্গে ফোনে একাধিক বার কথা হয়েছে রিয়ার। ২ বার রিয়া ফোন করেছেন মুম্বই পুলিসের ডিসিপিকে। ২ বার পাল্টা কল করেছেন ওই পদস্থ আধিকারিকও। সেই সঙ্গে একবার মেসেজেও দুজনের যোগাযোগ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, সুশান্ত মামলার অন্যতম সন্দেহভাজন রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে ফোনে কি এমন কথা থাকতে পারে মুম্বই পুলিসের ওই পদস্থ আধিকারিকের। তাছাড়া মাত্র থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ না করে ফোনে ব্যক্তিগত ভাবে রিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করার কি কারন, উঠছে প্রশ্ন। তবে মুম্বই পুলিসের তরফে বলা হয়েছে তদন্তের অগ্রগতি জানতেই যোগাযোগ করেছিলেন রিয়া।