বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের (sushant singh rajput) থেকে বড় অঙ্কের টাকা সরিয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী (rhea chakraborty) ও তাঁর পরিবার, এই মর্মে পাটনায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন অভিনেতার বাবা কে কে সিং। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আর্থিক তছরুপের মামলায় তদন্ত করছে ইডি (ED)।
সেই তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই ৮ অগাস্ট ইডির দফতরে হাজিরা দিতে হয় রিয়াকে। দীর্ঘ আট ঘন্টা জেরার পর রাত প্রায় পৌনে দশটায় ইডির দফতর থেকে বেরোন রিয়া ও তাঁর ভাই সৌভিক। জানা গিয়েছে ইডির জিজ্ঞাসাবাদে রিয়া জানিয়েছেন সুশান্তের দুটি জিনিস এখনও রয়ে গিয়েছে তাঁর কাছে। সেই দুটি জিনিস হল সুশান্তের হাতে লেখা একটি কৃতজ্ঞতার নোট ও একটি জলের বোতল।
সেই নোটটির একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে ৭টি বিষয় লেখা রয়েছে যার জন্য কৃতজ্ঞ ছিলেন অভিনেতা। নোটটি সুশান্তের নিজের হাতে লেখা বলেই দাবি করেছেন রিয়া। নোটে লেখা-
১. আমার জীবনের জন্য আমি কৃতজ্ঞ
২. আমার জীবনে লিলুর জন্য আমি কৃতজ্ঞ
৩. আমার জীবনে বেবুর জন্য আমি কৃতজ্ঞ
৪. আমার জীবনে স্যরের জন্য আমি কৃতজ্ঞ
৫. আমার জীবনে ম্যামের জন্য আমি কৃতজ্ঞ
৬. আমার জীবনে ফাজের জন্য আমি কৃতজ্ঞ
৭. আমার জীবনে এত ভালবাসার জন্য আমি কৃতজ্ঞ
নামগুলি সম্পর্কে রিয়া জানান, বেবু হলেন সৌভিক, বেবু খোদ রিয়া, স্যর ও ম্যাম হলেন রিয়ার বাবা মা এবং ফাজ হল সুশান্তের পোষ্য। তবে নোটটি কখন লেখা হয়েছে বা রিয়াই সেটা পেলেন কিভাবে তা জানা যায়নি। এছাড়া সুশান্তের একটি জলের বোতলও তাঁর কাছে রয়েছে বলে জানান অভিনেত্রী।
জানা গিয়েছে ইডির তরফে দুদিন আগেই রিয়াকে সম্পত্তি সংক্রান্ত নথিপত্র জমা দিতে বললেও তিনি তা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। উপরন্তু তিনি বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তরেই বলছেন, তিনি কিছু জানেন না। সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রুতি মোদী ও রিয়ার চার্টার অ্যাকাউন্ট্যান্ট রিতেশ শাহ আট ঘন্টা জেরার পর চলে গিয়েছেন দফতর থেকে।
ইডির তরফে দুদিন আগেই রিয়াকে সম্পত্তি সংক্রান্ত নথিপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি বলেন, সেই সব নথিপত্র তাঁর চার্টার অ্যাকাউন্ট্যান্টের কাছে রয়েছে। অপরদিকে চার্টার অ্যাকাউন্ট্যান্ট দাবি করেন সেসব রিয়ার কাছে রয়েছে। আরও জিজ্ঞাসাবাদের পর রিয়া জানান, সম্পত্তির নথিপত্র তিনি কোথায় রেখেছেন তা তাঁর মনে নেই।
অপরদিকে রিয়া ও তাঁর ভাই সৌভিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস থেকে জানা গিয়েছে, সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরাসরি জমা হত সৌভিকের অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকে তা যেত রিয়ার কাছে। সূত্র মারফত খবর, ইডির তরফে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে যার কোনও উত্তর দিতে পারেননি রিয়া।