বাংলাহান্ট ডেস্ক: আগেই সুশান্ত সিং রাজপুতের (sushant singh rajput) উপর ‘কালা জাদু’ করার অভিযোগ উঠেছিল রিয়া চক্রবর্তীর (rhea chakraborty) বিরুদ্ধে। বিহার পুলিসের জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন সুশান্তের দিদি মিতু সিং রাজপুত। অভিনেতার পরিচারক নাকি বিষয়টা তাঁকে জানিয়েছিল বলে দাবি করেন সুশান্তের দিদি।
এবার রিয়ার বিরুদ্ধে সেই অভিযোগই আরও জোরালো হল। পুলিস ও ইডির তদন্তে অভিনেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউট ডিটেলস খতিয়ে দেখার পর জানা গিয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ‘পূজা’র জন্য তিন বার বড়সড় অঙ্কের টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল সুশান্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে। প্রথমে ৪৫ হাজার, দ্বিতীয়বারে ৮৬ হাজার ও তারপর ৬০ হাজার টাকা তোলা হয়েছিল পূজার জন্য। শুধু তাই নয়, পূজার পর পণ্ডিতকে দক্ষিণা বাবদও দেওয়া হয়েছিল ১১ হাজার টাকা।
এই তথ্য সামনে আসার পরেই সুশান্তের পরিবার ফের অভিযোগ করেছে এই বিপুল অঙ্কের টাকা ‘কালা জাদু’ করার জন্যই তুলেছিলেন রিয়া। এর আগে রিয়ার বিরুদ্ধে করা এফআইআরে সুশান্তের বাবা কে কে সিং অভিযোগ করেছেন অভিনেতার একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ কোটি টাকা অন্য একটি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন রিয়া। মোট ১৭ কোটি টাকা হাপিস করে দেন তিনি। সুশান্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস থেকে জানা গিয়েছে রিয়া ও তাঁর পরিবারের যাবতীয় খরচ দিতে হত অভিনেতাকেই।
অপরদিকে এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করে অভিনেতার বডিগার্ড। তিনি জানান, সুশান্ত প্রায়দিনই অসুস্থ থাকতেন এবং নিজের বেডরুমে শুয়ে থাকতেন। অপরদিকে তাঁর লিভ ইন পার্টনার রিয়া চক্রবর্তী পাশের ঘরে পার্টি করতেন তাও আবার অভিনেতারই টাকা খরচ করে।
অভিনেতার বডিগার্ড জানান, এই পার্টিতে শুধু রিয়া নন তাঁর বাবা এবং ভাইও অংশ নিতেন। উপরন্তু গত কয়েক মাস ধরে সুশান্তের সঙ্গে তাঁর পরিবারের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। সুশান্তকে তাদের সঙ্গে দেখা করতেও দেওয়া হত না।
বডিগার্ডের কথায়, “রিয়া আসার পর গত এক বছর থেকে সুশান্তের জীবনযাত্রাই বদলে যায়। ওষুধ খাওয়ার পর থেকে বিছানাতেই শুয়ে থাকতেন তিনি। তবে আমি ওষুধের ওভারডোজের কথা জানিনা। গত বছর ইউরোপ ট্রিপ থেকে যখন ফিরলেন তিনি অসুস্থের মতো বিছানায় শুয়ে থাকতেন। কিন্তু আগে তিনি অনেক সক্রিয় ছিলেন।”