ঋণ মেলার আশা প্রায় শেষ! কাঙাল পাকিস্তান ছেড়ে পালাচ্ছে ধনীরা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রতিদিনই পাকিস্তানের (Pakistan) আর্থিক অবনতির নতুন নতুন ছবি সামনে আসছে। প্রতিদিনই প্রতিবেশী দেশের থেকে খুব ভাল কোনও সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে না। বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত দিচ্ছেন সেখানকার সাধারণ মানুষ। তাঁদের ঠিক মতো দু’বেলা খাবার জুটছে না। কারণ জিনিসের যা দাম, ইতিমধ্যেই তা মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে গিয়েছে।

অন্যান্য দেশগুলি পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াচ্ছে না। এমনকী, তাদের ‘বন্ধু’ চিনও (China) মুখ ফিরিয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) কাছে হাত পেতেছিল জিন্নার দেশ। কিন্তু তারাও পাকিস্তানের আবেদন খারিজ করেছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, শীঘ্রই শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) মতো অবস্থা হয়ে যেতে পারে পাকিস্তানের। সেখানেও বাঁধতে পারে গৃহযুদ্ধ।

pakistan international airport

উল্লেখ্য, গোটা বিশ্বের কাছেই বিপুল পরিমাণ ঋণ রয়েছে পাকিস্তানের। সব মিলিয়ে মোট ৬০ ট্রিলিয়ন পাক রুপির ঋণ রয়েছে। যা সে দেশের জিডিপি-র ৮৯ শতাংশ। একইসঙ্গে তাদের মোট ঋণের ৩৫ শতাংশ এসেছে চিনের থেকে। চিনের কাছে পাকিস্তানের ৩০০০ কোটি ডলার ঋণ রয়েছে। তাই পাকিস্তান দেউলিয়া হয়ে গেলে বড় ধাক্কা খাবে চিন।

দেউলিয়া হয়ে যাওয়া থেকে নিজেদের বাঁচাতে যথাযত চেষ্টা করছে পাকিস্তান। পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ৮ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। ব্যবসায়ীদের ভর্তুকি বন্ধের ঘোষণা করেছে শাহবাজ সরকার। তবে পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির হার ২৭ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। একইসঙ্গে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারে আর মাত্র ৩৫০ কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। 

Shahbaz Sharif

এর মধ্যে তারা অন্যান্য দেশ থেকে আর্থিক সাহায্য না পেলে পুরোপুরি ডুবে যাবে। পাকিস্তানের এই অবস্থায় আশঙ্কিত হয়ে বহু মানুষই দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। হঠাৎ করেই বেড়ে গিয়েছে পাকিস্তানিদের বিদেশ যাত্রার হার। ২০১৬ সালের পর মোট ২০২,৮৩২,৩৩৯ জন দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। 

২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে প্রায় ২০০ শতাংশ পাকিস্তানি ছেড়েছেন তাঁদের জন্মভূমি। দেশকে দেউলিয়া হওয়া থেকে বাঁচাতে শাহবাজ সরকার কর বাবদ ১৭০০০ কোটি টাকা তোলার কথা ঘোষণা করেছে। এর ফলে আরও চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন সাধারণ পাকিস্তানি নাগরিকরা।  


Subhraroop

সম্পর্কিত খবর