বাংলা হান্ট ডেস্ক: আগামী বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে পালিত হতে চলেছে প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day)। পাশাপাশি, চলতি বছরে প্রজাতন্ত্র দিবসের থিম হল “পার্টিসিপেশন অফ দ্য কমন পিপল” (Participation Of The Common People)। এমতাবস্থায়, প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে রিকশাচালক থেকে শুরু করে সবজি বিক্রেতাদের মত সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষদের বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
মূলত, সেন্ট্রাল ভিস্তা (Central Vista) তৈরি করা কর্মীরা ও তাঁদের পরিবার এবং কর্তব্য পথের (Kartavya Path) যাঁরা রক্ষণাবেক্ষণ করেন সেইসমস্ত কর্মীরা প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চের সামনে বসবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।
জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর পদক্ষেপ: বিগত কয়েক বছর ধরে, কেন্দ্রীয় সরকার সরকারি অনুষ্ঠান ও কর্মসূচিগুলিতে সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গত বছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডের জমকালো অনুষ্ঠানে অটোরিকশা চালক, নির্মাণ শ্রমিক, সাফাইকর্মী এবং ফ্রন্টলাইন কর্মীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
সেন্ট্রাল ভিস্তার উদ্বোধনের পর প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান: উল্লেখ্য যে, সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পটি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন করা হয়েছিল। পাশাপাশি, “রাজপথ” নামে পরিচিত পথটির নামকরণ করা হয়েছিল “কর্তব্য পথ” হিসেবে। এই বছর প্রথমবার প্রজাতন্ত্র দিবসের আয়োজন হতে চলেছে সেখানে। এই প্যারেডে আসন সংখ্যা ৪৫,০০০ থেকে কমিয়ে ৩২,০০০ করা হয়েছে। এছাড়াও, বিটিং রিট্রিট টিকিটের মাত্র ১০ শতাংশ সাধারণ জনগণের জন্য উপলব্ধ করা হয়েছে।
প্যারেড ছাড়া আর কি কি হবে: ২০২৩ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড ছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রক এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দ্বারা লালকেল্লায় একাধিক অনুষ্ঠান হবে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে আর্ট ফর্ম এবং খাবারের একটি প্রদর্শন করা হবে। এই অনুষ্ঠানটি ভারত পর্ব নামে বিবেচিত হবে। এছাড়াও, ১৮ টি হেলিকপ্টার, ৮ টি ট্রান্সপোর্টার এয়ারক্রাফ্ট এবং ২৩ টি ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট ফ্লাইপাস্টে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পাশাপাশি, মিশর থেকে ১২০ জনের একটি মার্চিং দল কুচকাওয়াজে অংশ নেবে বলেও জানা গিয়েছে।