বাংলাহান্ট ডেস্ক: তিনি বলিউডের বাদশা। তাই তাঁর ফেরাটাও রাজকীয়ই হওয়া উচিত। ‘জিরো’র ভরাডুবির পর চার বছরের বিরতি। এতদিন ধরে কিং খানের প্রত্যাবর্তনের জন্য জমি প্রস্তুত করছিল বলিউড। অবশেষে তিনি ফিরলেন, দেখলেন, জয় করলেন। সিনেদুনিয়ায় শুধু এখন দুটোই নাম শাহরুখ খান (Shahrukh Khan) এবং ‘পাঠান’ (Pathan)।
বিগত দু বছর ধরে বলিউডে যে খরা চলছিল পাঠান মুক্তি পেতেই সব ভোঁ ভাঁ। দু দিনেই ২০০ কোটি তুলে ফেলেছে শাহরুখ, দীপিকা পাডুকোন, জন আব্রাহাম অভিনীত ছবি। বক্স অফিসে ব্যবসার অঙ্ক বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিনেতা অভিনেত্রীরাও প্রশংসায় ভরাচ্ছে পাঠানকে। টলিউড থেকে যারা যারা বয়কট ট্রেন্ডের বিরোধিতা করেছেন, তাদের মধ্যে ঋদ্ধি সেন (Riddhi Sen) অন্যতম।
পাঠান বিষয়ক একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘পাঠান চলচ্চিত্র হিসেবে কিরম তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থাকতে পারে, সেই একই গল্প আরও বেশি অংকের টাকায় বলে চলা, কারুর জঘন্য লাগতে পারে , কারুর খুব ভালো, কিন্তু পাঠান এই বয়কট মুভমেন্টের গালে একটা বড়ো চড়।’
কোনো রকম রাখঢাক না করেই ঋদ্ধি লিখেছেন, ‘ ছবি হিসেবে কেমন সেটা নিয়ে তর্ক থাকুক, থাকবেই , বাণিজ্যিক ছবির ভাষার দিক থেকেও পাঠান এক ঘেয়ে ,কিন্তু পাঠান প্রমান করলো যে কেউ এসে ভারতবর্ষের নাগরিকদের হুকুম করে বলে দেবে না যে তাদের কোন ছবি দেখা উচিত আর কোন ছবি বয়কট করা উচিত l কোনটা সভ্য পোশাক আর কোনটা অসভ্য, কার পদবি কি, কোনটা সৌজন্য বোধ আর কোনটা নয় , গেরুয়া রং পোশাকে ব্যবহৃত হবে না হলুদ , ক্ষমতার নির্দেশ করে দেওয়া এই সমস্ত ‘সংষ্কারি ভারতীয় নাগরিক’ হওয়ার পাঠকে ভারতীয় জনগণ বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিয়েছে l’
পাঠান মুক্তির আগে থেকেই বিতর্কে ছিল। এমনকি মুক্তির পরেও কিছু কিছু জায়গায় বিক্ষোভ থামার নাম নিচ্ছে না। শাহরুখ খানের নতুন ছবিটির মুক্তি আটকাতে অনেক দিন ধরেই বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করছে নানান হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনগুলি। পাঠান চললে প্রেক্ষাগৃহ জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তবুও বেশিরভাগ জায়গায় ছবি শুধু রিলিজই করেনি, রীতিমতো হাউজফুলও হয়েছে।
অনেক জায়গাতেই পুলিসি প্রহরায় চলেছে পাঠানের শো। তবে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে পুলিসের হাতের বাইরে চলে যায় পরিস্থিতি। প্রেক্ষাগৃহের বাইরে পয়গম্বরের নামে আপত্তিকর স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বজরং দলের বিরুদ্ধে। পালটা বিতর্কিত ‘সর তন সে জুদা’ স্লোগান দেয় স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দারা। পরিস্থিতি দাঙ্গার রূপ নেওয়ার উপক্রম হলে পুলিস নামে এলাকায়।