বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: কাল এক অসম্ভবকে সম্ভব করার লড়াইয়ে নেমেছিলেন রিঙ্কু সিং। সুনীল নারায়ণকে সঙ্গে নিয়ে প্রায় অসাধ্য সাধন করেও ফেলেছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত হলো না। ইভান লুইসের এক দুরন্ত ক্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্লে অফের স্বপ্ন, একটা স্বপ্ন হয়েই থেকে গেল। মাত্র ২ রানের জন্য ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হলো নাইট বাহিনীকে। তবে মরশুমের শুরুতে যে রিঙ্কু সিং-কে কেনা নিয়ে নানান প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিল নাইট ম্যানেজমেন্ট, তাদের ব্যাট হাতেই ধারাবাহিক ভালো পারফরম্যান্স করে একটু স্বস্তি দিলেন রিঙ্কু।
কাল ব্যাট হাতে ডি ককের তান্ডবলীলার পর ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ কেকেআরের দুই ওপেনার ভেক্টটেশ আইয়ার ও অভিষেককারী অভিজিৎ তোমার। দুজনকেই আউট করেন তরুণ মহসিন খান। ৩ এবং ৪ নম্বরে নেমে নীতিশ রানা ও শ্রেয়স আইয়ার পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন। ২২ বলে ৪২ করে রানা কৃষাপ্পা গৌতমের শিকার হন। নিজের অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করা মাত্র স্টোইনিসের শিকার হন শ্রেয়স। স্যাম বিলিংসকে ৩৬ রানে ফেরান রবি বিশ্নই।
ফর্মে থাকা রাসেল কাল ব্যর্থ। ১১ বলে ৫ রান করে মহসিন খানের শিকার হন রাসেল। এরপর প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়া টার্গেট চেজ করে ফেলেছিলেন রিঙ্কু সিং এবং সুনীল নারায়ণ। একসময় হাতের বাইরে চলে যাওয়া ম্যাচের শেষ দুই বলে ৩ রান করতে হতো কেকেআরকে। এইসময় ১৪ বলে ৪০ করা রিঙ্কু সিংকে দুরন্ত ক্যাচে ফেরান ইভিন লুইস। মাত্র ২ রানের ব্যবধানে হারতে নয় নাইটদের। ৭ বলে ২১ করে অপরাজিত থাকেন নারায়ণ। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে লখনউয়ের জয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন মহসিন।
কাল কেকেআরের অন্যতম বড় ভরসা রাসেল যখন আউট হয়েছিলেন তখন নাইটদের জিততে গেলে ২১ বলে ৬১ রান করতে হতো, যা বড় কোনও আন্তর্জাতিক পিঞ্চ হিটারের পক্ষেও অসম্ভবের সামিল। কিন্তু সেটাও প্রায় সম্ভব করে ফেলেছিলেন রিঙ্কু। তাই ম্যাচ শেষে তার চোখ ছলছল করে ওঠে। সেই অবস্থায় রিঙ্কুর পাশে দাঁড়ান বিপক্ষ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। দুই দলের প্লেয়াররা করমর্দন করার সময় রিঙ্কুকে জড়িয়ে ধরে সান্তনা দেন তিনি।