“রিঙ্কু মেয়েদের নাম”, মস্করা শুনে ভুগেছেন হীনমন্যতায়, অজানা কাহিনী জানালেন KKR তারকা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: IPL (Indian Premier League)-এ দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই সবার মন জিতে নিয়েছেন রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই ভারতের জাতীয় দলেও সুযোগ ঘটেছে তাঁর। বর্তমান সময়ে তাঁর বিপুলসংখ্যক অনুরাগী ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। অথচ, আজকের এই সফল ক্রিকেটার রিঙ্কুকে ছোটবেলা থেকেই হতে হয়েছে বিভিন্ন মস্করার সম্মুখীন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রিঙ্কুর ক্রিকেট জীবনের লড়াইয়ের কথা আমরা তো প্রত্যেকেই জানি। কিন্তু এবার রিঙ্কু নিজেই জানালেন তাঁর সম্পর্কে অজানা কিছু কথা। সম্প্রতি একটি ভিডিওতে নিজের নামের প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন রিঙ্কু। সেখানে তিনি বলেন, “আমার নাম নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন। তাঁরা বলেন, তোমার ভালো নাম হল রিঙ্কু। তা হলে তোমাকে বাড়িতে সবাই কি নামে ডাকে? আমি তখন তাদের বলেছি, আমার একটাই নাম রয়েছে। কোনো ডাকনাম নেই।”

Rinku Singh told an unknown story about his name.

পাশাপাশি, তাঁর নামের জন্য তিনি অনেকের মস্করার সম্মুখীন হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। ওই ভিডিওতে তিনি বলেন, “আমাকে অনেকেই বলেছেন, “রিঙ্কু তো মেয়েদের নাম হয়। আমি অনেক বারই এই কথা শুনেছি। আবার কেউ কেউ এটাও বলেছেন যে, রিঙ্কু খুব মজার নাম। আমি কিন্তু কাউকেই কোনো জবাব দিইনি।” তবে, রিঙ্কু এটা স্বীকার করে নিয়েছেন যে নিজের নামের জন্য ছোটবেলায় কিছুটা হলেও তিনি হীনমন্যতায় ভুগতেন।

আরও পড়ুন: “এটা চাকরিজীবীদের অধিকার”, আদালতের নির্দেশে মুখে হাসি ফুটল সরকারি কর্মীদের

KKR-এর তারকা খেলোয়াড় বলেন, “ছোটবেলায় আমার সত্যি মনে হতো আমার নামের মধ্যে সেই ওজন নেই। তখন কিছুটা হীনমন্যতায় ভুগতাম। যদিও, ক্রিকেট খেলতে খেলতে নিজের নামের ওপর আমার বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা মারার পরে আমার নামের দামও অনেকটা বেড়ে গিয়েছে।” এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, গতবারের IPL-ই পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা মেরেছিলেন রিঙ্কু। আর তারপর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: ২,৪৯,৭৭,৪৯,০০,০০০ টাকা নিয়ে বসে আছেন আদানি! এবার নিচ্ছেন দেশ থেকে বেরনোর প্রস্তুতি

এই প্রসঙ্গে রিঙ্কু জানান, “ওই পাঁচ ছক্কা আমাকে পরিচিতি দিয়েছে এবং আমি বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপন পেয়েছি। যার ফলে আমার হাতে টাকা এসেছে এবং পরিবারের সুবিধা হয়েছে। এখন আমি রাস্তায় হোর্ডিংয়ে আমার ছবি দেখতে পাই। কোনও দিন ভাবিনি এগুলো হবে। নিজের ছবি এভাবে দেখে মনে হয় জীবনে আমি কিছু করতে পেরেছি।”


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর