পরিস্কার নো বলে আউট রিঙ্কু সিং! আম্পায়ারের একটি ভুলে IPL থেকে ছিটকে গেল কলকাতা

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আইপিএল ২০২২-এর গ্রূপপর্ব এখন তার শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। দুটি দল ইতিমধ্যেই প্লে অফে জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছে। বাকি দুটি দল হিসাবে কারা প্লে অফে পৌঁছয় তা জানতে এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ভক্তরা। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু দল হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে যাদের মধ্যে রয়েছে পাঞ্জাব কিংস, কেকেআরের মতো দলগুলো। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে শেষ ম্যাচে কেকেআরের এই পরাজয়ের পেছনে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তও জড়িত ছিল।

গোটা ২০২২ আইপিএল জুড়ে অত্যন্ত খারাপ আম্পায়ারিং দেখা গেছে। কেকেআর এবং লখনউয়ের ম্যাচেও সেই ধারার ব্যতিক্রম দেখা যায়নি। যার কারণে শেষ পর্যন্ত ২ রানের ব্যবধানে হার মানতে হয় নাইট বাহিনীকে। কিন্তু মার্কাস স্টোইনিস যে বলে রিঙ্কু সিংকে প্যাভিলিয়নে ফেরান সেই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। রিপ্লেতে দেখা গেছে ওই নির্দিষ্ট ডেলিভারীটি, যেটিতে রিঙ্কু সিং আউট হয়েছিলেন, সেই সময় স্টোইনিসের পা ক্রিজের অনেক এগিয়ে ছিল। এই নিয়ে আবার নতুন করে বিতর্ক আরম্ভ হয়েছে। আম্পায়ারিং নিয়ে ভক্তরা তুমুল সমালোচনা করেছেন।

It’s clearly no ball #Rinku 😟 #KKRvLSG pic.twitter.com/CJnLFZVgpH

— Harsha Guntupalli (@HarshaJSP1995) May 18, 2022

মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্পোর্টস কমপ্লেক্সে কেকেআর বোলারদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন ডি কক। তাকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন লোকেশ রাহুল। আইপিএল টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথমবার এমন হলো যখন প্রথম ইনিংসে ওপেনিং জুটি গোটা ২০ ওভার জুড়ে ব্যাটিং করে যায়। ডি কক তার ৭০ বলে ১৪০ রানের ইনিংস খেলার সময় মারেন ১০টি ছক্কা এবং ১০টি চার মেরেছিলেন। রাহুল ধৈর্যশীল ৫১ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলার সময় ৪টি ছক্কা ও ৩টি চার মেরেছেন। যার জন্য ২০ ওভারে ২১০ রানের স্কোর প্রথম ইনিংসে খাঁড়া করে লখনউ। কোনও কেকেআর বোলারই কোনোরকম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি।

ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ দুই ওপেনার ভেক্টটেশ আইয়ার ও অভিষেককারী অভিজিৎ তোমার। দুজনকেই আউট করেন তরুণ মহসিন খান। ৩ এবং ৪ নম্বরে নেমে নীতিশ রানা ও শ্রেয়স আইয়ার পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন। ২২ বলে ৪২ করে রানা কৃষাপ্পা গৌতমের শিকার হন। নিজের অর্ধশতরান সম্পূর্ণ করা মাত্র স্টোইনিসের শিকার হন শ্রেয়স। স্যাম বিলিংসকে ৩৬ রানে ফেরান রবি বিশ্নই। রাসেল আজ ব্যর্থ। ১১ বলে ৫ রান করে মহসিন খানের শিকার হন রাসেল। এরপর প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়া টার্গেট চেজ করে ফেলেছিলেন রিঙ্কু সিং এবং সুনীল নারায়ণ। একসময় হাতের বাইরে চলে যাওয়া ম্যাচের শেষ দুই বলে ৩ রান করতে হতো কেকেআরকে। এইসময় ১৪ বলে ৪০ করা রিঙ্কু সিংকে দুরন্ত ক্যাচে ফেরান ইভিন লুইস। মাত্র ২ রানের ব্যবধানে হারতে নয় নাইটদের। ৭ বলে ২১ করে অপরাজিত থাকেন নারায়ণ। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে লখনউয়ের জয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন মহসিন।