বাংলা হান্ট ডেস্ক: এই প্রথম খড়গপুর আইআইটিতে ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করছেন একজন মহিলা। কিছুদিন আগেই খড়গপুর আইআইটির ডেপুটি ডিরেক্টর থেকে বারাণসী আইআইটির ডিরেক্টারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অমিত পাত্র। আর এবার তাঁর সেই পদের দায়িত্ব নিচ্ছেন অধ্যাপিকা রিন্টু বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর কৃতিত্ব, গবেষণা এবং আবিষ্কার দেশের কাছে এক মাইল ফলক। প্রথম মহিলা হিসেবে এবার তিনি খড়গপুর আইআইটির ডেপুটি ডিরেক্টর হওয়ায় খুশির হাওয়া দেশের প্রাচীনতম প্রযুক্তিবিদ্যার পীঠস্থান আইআইটি খড়্গপুরে। এমন বিশ্বমানের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পদের দায়িত্ব গ্রহণ ওই অধ্যাপিকা নিঃসন্দেহে সমাজের জন্যও বিশেষ বার্তা বহন করছেন বলে মনে করছেন গুণীজনেরা ।
খড়্গপুরের মত এমন আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পাওয়ার পর অধ্যাপক রিন্টু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,’আমি গর্বিত ও সম্মানিত। একজন ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে স্বল্প ব্যয়ে শক্তিশালী ও উন্নত প্রযুক্তির আবিষ্কারের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে আইআইটি খড়্গপুরের অসামান্য অবদান তুলে ধরাই আমার লক্ষ্য হবে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশের প্রাচীনতম এই আইআইটি’র গুরুত্ব ও মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করতেও আমি নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: ধস নেমে ভাঙল বেইলি ব্রিজ! ঝুঁকিপূর্ণ সিকিমের রাস্তা,বিপদ বুঝে সতর্ক করল প্রশাসন
জানা গিয়েছে, খড়গপুর আইআইটির বর্তমান ডেপুটি ডিরেক্টর তথা অধ্যাপিকা রিন্টু বন্দ্যোপাধ্যায় আইআইটি খড়্গপুরের পি.কে সিনহা সেন্টার ফর বায়ো এনার্জি অ্যান্ড রিনিউয়েবলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান এবং বর্তমানে চেয়ারপার্সন। এছাড়া গত তিন বছর ধরে তিনি আইআইটি খড়্গপুরের কৃষি ও খাদ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখানেই শেষ একজন মহিলা হিসাবে অধ্যাপিকা রিন্টুর শিক্ষাগত যোগ্যতা দারুন আকর্ষণীয়।
তিনি, আইআইটি খড়্গপুরের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ডিন হিসেবে এবং গ্রামীণ উন্নয়ন, উদ্ভাবনী ও টেকসই প্রযুক্তি কেন্দ্রের প্রধান হিসেবে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। এছাড়াও তাঁর উদ্বাবনী ভাবনা ও আবিষ্কার ভারতের গন্ডি ছাড়িয়ে প্রশংসিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। জানলে জানলে অবাক হবেন জৈব প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের আর্থিক ও বৈজ্ঞানিক জগতে অসামান্য অবদান জন্য ICAR-র অসামান্য মহিলা বিজ্ঞানী হিসেবেও তিনি ‘পাঞ্জাবরাও দেশমুখ পুরস্কার’- এ সম্মানিত হয়েছেন।
এখানেই কিন্তু শেষ নয় তাঁর ঝুলিতে রয়েছে আরও একাধিক সম্মান। ভারতের বায়োটেক রিসার্চ সোসাইটি দ্বারা ‘সেরা মহিলা জীববিজ্ঞানী’; অ্যাসোসিয়েশন ফর ফুড সায়েন্টিস্ট অ্যান্ড টেকনোলজিস্ট (ভারত) থেকে ‘ইয়ং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড’, লুই পাস্তুর পুরস্কার; মদন মোহন মালব্য পুরস্কার এবং রফি আহমেদ কিদওয়াই পুরস্কার-ও পেয়েছেন অধ্যাপিকা রিন্টু বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সবশেষে বলে রাখি তিনি একজন জীববিজ্ঞানী হিসেবেও কিন্তু পৃথিবীব্যাপী নিজের অসামান্য প্রতিভা ও উদ্ভাবনী সত্ত্বার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাই সত্যিই খড়্গপুরের এই মহিলা ডেপুটি ডিরেক্টর সমাজের প্রতিটি মেয়ের কাছে অনুপ্রেরণার আর এক নাম।