বজরং দলের বিক্ষোভ, পালটা বিতর্কিত ‘সর তন সে জুদা’ স্লোগান! ‘পাঠান’এর জন্য দাঙ্গার পরিস্থিতি

বাংলাহান্ট ডেস্ক: মুক্তির পরেও ‘পাঠান’ (Pathan) নিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত। প্রথম দিন অনেক জায়গাতেই কড়া পুলিসি প্রহরায় সিনেমা দেখানো হয়েছে। কিছু জায়গায় প্রেক্ষাগৃহের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন হলেও ভেতরে শাহরুখ ভক্তদের উল্লাস চোখে পড়েছে। কিন্তু বিক্ষোভ যে এত সহজে শান্ত হবে না তা বোঝা গিয়েছিল পরিস্থিতি দেখেই। তবে মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) যে অবস্থা তৈরি হল তা বোধকরি কল্পনার বাইরে।

এ রাজ্যে পাঠানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কার্যত দাঙ্গার রূপ নেয়। শাহরুখ খানের এই ছবি মুক্তির বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই কড়া অবস্থান দেখা গিয়েছে মধ্যপ্রদেশে। বজরং দল, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো হিন্দু সংগঠনগুলি স্পষ্ট হুমকি দিয়ে রেখেছিল, পাঠান মুক্তি পেলে প্রেক্ষাগৃহে ভাঙচুর হবে। ২৫ তারিখ ছবি মুক্তি পেতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের নির্দেশ দেয় বজরং দল। কিছু কিছু জায়গায় বাস্তবিকই বাতিল হয়ে যায় শো।

pathan gujrat

কিন্তু ইন্দোরে খণ্ডযুদ্ধের পরিস্থিতি হয় বজরং দলের সদস্য এবং স্থানীয়দের মধ্যে। স্থানীয় তথা ছবি দেখতে আসা দর্শকদের অভিযোগ, পয়গম্বরকে অসম্মান করে স্লোগান দেয় বজরং দল। এরপরেই পালটা সুর চড়ায় স্থানীয়রা। স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত ‘সর তন সে জুদা’ স্লোগান দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ ওঠে। দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায় এলাকায়। তড়িঘড়ি নামানো হয় পুলিস।

প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের দিনই উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হল ইন্দোরে। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৫৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে বলে খবর পুলিস সূত্রে। উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেছিলেন, পাঠান ছবির ‘বেশরম রঙ’ গানে দীপিকা পাডুকোনের গেরুয়া রঙের বিকিনি হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করে। তাই ওই দৃশ্য এবং আরো কিছু আপত্তিকর দৃশ্য সরাতে হবে। নাহলে ছবি কীভাবে মুক্তি পায় সেটা তাঁরাও দেখবেন।

যদিও পরে নিজের বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেন নরোত্তম মিশ্র এবং বলেন, এই ছবিতে আপত্তিকর কিছুই নেই। কিন্তু এতেও পাঠান বিরোধী বিক্ষোভ সামলানো যায়নি। ছবির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাটেও। কিন্তু ভাগ্যক্রমে ইন্দোরের মতো পরিস্থিতি সেখানে হয়নি। বিক্ষোভের মাঝেই হাউজফুল প্রেক্ষাগৃহে চলেছে পাঠান।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর