বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সিরিজের প্রথম ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় তুলে নিয়ে 1-0 ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছে ভারত। বুধবার জয়পুরে প্রথম ব্যাট করে 165 রানের টার্গেট রেখেছিল কিউই বাহিনী। রান তাড়া করতে নেমে 5 উইকেট হারালেও দু বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারতীয় দল। একথা ঠিক যে এই জয়ের সবথেকে বড় ভূমিকা ছিল রোহিত শর্মা এবং সূর্য কুমার যাদরের। একদিকে যেমন শুরুতেই 36 বলে 48 রানে ইনিংস উপহার দেন রোহিত, তেমনি অন্যদিকে 40 বলে 62 রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন সূর্য কুমার যাদবও।
একবারে শেষ পর্যায়ে সূর্য, শ্রেয়াস এবং ভেঙ্কটেশ পরপর আউট হওয়ায় চাপের মুখে পড়ে গিয়েছিল ভারত। কিন্তু এই পরিস্থিতি থেকে ফের একবার ভারতের জয় নিশ্চিত করেন বামহাতি উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋষভ পান্থ। শুরুর দিকে মন্থর গতিতে খেললেও শেষ পর্যন্ত চার মেরে ভারতকে জয়ের শিখরে পৌঁছে দেন তিনিই৷ পান্থ দলে আসার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকে তার তুলনা শুরু করেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গে। মহেন্দ্র সিং ধোনি যেমন একের পর এক ম্যাচ সুন্দরভাবে ফিনিশ করতেন ভারতের জন্য, কার্যত সেই দায়িত্ব পালন করবেন পান্থ এমনটাই ভাবতে শুরু করেছিলেন সকলে।
কিন্তু বিষয়টা মোটেই সহজ নয়, অভিজ্ঞতা ছাড়া মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মত মস্তিষ্কে একটি ক্যালকুলেটর প্রয়োজন এত বড় ফিনিশার হয়ে উঠতে হলে। তবে একথা ঠিক যে বুধবার তার কিছুটা ঝলক দেখা গেল পান্থের মধ্যে। সব থেকে বড় কথা হল কাল একেবারেই তাড়াহুড়ো করেননি তিনি। বরং ধীর-স্থিরভাবে খারাপ বলের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেল এই বাঁহাতি উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে। আর সেই কারণেই কাঙ্ক্ষিত জয় তুলে নিতে পারল টিম ইন্ডিয়া।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে 89 রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন পান্থ। এক প্রান্তে বোলারদের নিয়ে যেভাবে লড়াই চালিয়ে ছিলেন তিনি, তা দেখেই বোঝা গিয়েছিল এখন পান্থ অনেকটাই পরিণত। বুধবার ফের একবার সে কথাই প্রমাণ করলেন এই ধোনি ভক্ত। এমনকি এবার আইপিএলে দিল্লির হয়ে ভালো অধিনায়কত্ব করতেও দেখা গিয়েছে এই তরুণ প্রতিভাকে, তাই অনেকেই মনে করছেন এবার ধীরে ধীরে হয়তোবা ধোনির যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে উঠতে পারবেন তিনি।