বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ম্যানচেস্টারে রবার জিততে প্রথম ইনিংসের শেষে ভারতের প্রয়োজন ছিল ২৬০ রানের। ৪৭ বলে এবং ৫ উইকেট হাতে রেখেই সেই কাজটি সম্পন্ন করেন রিশভ পন্থরা। যার ফলে ইংল্যান্ডের মাটিতে পা রাখার পর টেস্ট সিরিজ টি কব্জা করতে না পারলেও পরপর দুটি সীমিত ওভারের সিরিজটিতে সফল ইংল্যান্ড সফর সম্পন্ন করলো ভারত। এবং এই পারফরম্যান্সের পর ভারতীয় দলকে নিয়ে সন্তুষ্ট ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
<span;>ইংল্যান্ডকে ২৫৯ রানে অলআউট করার পর ব্যাট করতে নেমে গত ম্যাচের নায়ক টপলির সামনে আরও একবার বেকায়দায় পড়ে ভারতীয় টপ অর্ডার। রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি ১৭ রান করে আউট হন। এই সিরিজের তিনটি ম্যাচেই বড় কিছু করে দেখাতে ব্যর্থ ধাওয়ান। তিনি আউট হন মাত্র এক রানে। কিন্তু তারপর খেলা ঘুরিয়ে দেন রিশভ পন্থ ও হার্দিক পান্ডিয়া। তাদের কুড়ি ওভারে ১৩৩ রানের পার্টনারশিপ ইংল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। হার্দিক পান্ডিয়া যখন ৫৫ বলে ৭২ রান করে আউট হলেন তখন ভারতের জয় কেবল সময়ের অপেক্ষা। নিজের সম্পূর্ণ স্বভাববিরুদ্ধ খেলা খেলে শতরান করেন পন্থ। প্রথমদিকে অতিরিক্ত সতর্কতা ব্যাটিং করে এবং একবার সেট হয়ে যাওয়ার পর নিজের পরিচিত আক্রমণাত্মক ছন্দে ব্যাটিং করেন ভারতীয় উইকেট রক্ষক। ফলস্বরূপ ৪৭ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ ও সিরিজ জিতে নেয় ভারতীয় দল। ১১৩ বলে ১২৫ করে অপরাজিত থাকেন পন্থ।
<span;>ভারতীয় দল যখন মাত্র ২৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে তখন ব্যাট করতে নামেন পন্থ। পরবর্তীতে ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে তিনি বলেন, “এই ইনিংসটি আমার সারা জীবন মনে থাকবে। আমি প্রত্যেকটা বলকে আলাদা আলাদা করে সমান গুরুত্ব দিয়েছি। দল চাপের মধ্যে ছিল এবং সেই সময় এইভাবে খেলাটাই প্রয়োজন ছিল। দলকে এভাবে সাহায্য করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।”
<span;>পন্থের প্রশংসা করেছেন সিরিজ সেরা হওয়া হার্দিক পান্ডিয়াও। সিরিজ সেরার পুরস্কার নিতে মঞ্চে উঠে তিনি বলেন, “পন্থ কতটা প্রতিভাবান ক্রিকেটার তা নিয়ে হয়তো কারোরই কোনও সন্দেহ নেই। শেষ পর্যন্ত আজ ও পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করেছে। ওর আর আমার পার্টনারশিপ ম্যাচ পার করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রমাণিত হয়েছে। ও ভবিষ্যতে ভারতকে আরও এরকম ম্যাচ জেতাবে। ও যেভাবে ম্যাচটা শেষ করেছে তা খুব খুব খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”