বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউড (Bollywood) মানেই গ্ল্যামারের ঝলকানি। উপরে ভাল মানুষির মুখোশ সেঁটে আড়ালে যে কত কী চলে তা একমাত্র ইন্ডাস্ট্রির অভ্যন্তরের মানুষরাই ভাল জানেন। এমন তারকা মেলা ভার যিনি কিনা কখনো পরকীয়ায় (Extra Marrital Affair) লিপ্ত হননি। এমনকি সে সময়কার স্বনামধন্য কাপুর পরিবারেও ঢুকেছিল অশান্তি। বাবা রাজ কাপুরের (Raj Kapoor) পরকীয়ার জন্য বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন ঋষি কাপুর (Rishi Kapoor)।
নিজের আত্মজীবনী ‘খুল্লম খুল্লা’তে বাস্তবিকই খুল্লমখুল্লা ভাবে পরিবারের অভ্যন্তরের কীর্তি ফাঁস করেছিলেন ঋষি। বাবা অভিনেতা তথা পরিচালক তথা প্রযোজক রাজ কাপুর সে সময়ে ইন্ডাস্ট্রির একজন কেউকেটা। প্রথম সারির নায়িকারা তাঁর প্রেমে পাগল। কিন্তু রাজ কাপুর তো বিবাহিত ছিলেন। বাড়িতে স্ত্রী কৃষ্ণা রাজ কাপুর, ছোট ছেলে।
তবুও দু দুজন নায়িকার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রাজ কাপুর। আত্মজীবনীতে ঋষি লিখেছেন, নার্গিসের সঙ্গে পরকীয়ার সময়ে বাড়িতে তেমন কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু রাজ কাপুর যখন বৈজয়ন্তীমালার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তখন ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে স্ত্রী কৃষ্ণার।
ঋষি জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবার সঙ্গে যখন নার্গিসের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তখন তিনি অনেক ছোট। বাড়িতে কোনো রকম বদল এসেছিল বলে মনে নেই তাঁর। কিন্তু রাজ কাপুর বৈজয়ন্তীমালার প্রেমে পড়তেই ঝড় উঠেছিল কাপুর পরিবারে। ছেলে ঋষিকে সঙ্গে নিয়ে মেরিন ড্রাইভের নটরাজ হোটেলে গিয়ে উঠেছিলেন কৃষ্ণা।
ঋষি লিখেছেন, ‘হোটেল থেকে দু মাসের জন্য চিত্রকূটে একটি অ্যাপার্টমেন্টে চলে গেলাম আমরা। বাবাই ওই অ্যাপার্টমেন্টটা মা আর আমাদের জন্য কিনেছিলেন। মাকে ফেরত আনার জন্য যতটা সম্ভব সব করেছিলেন বাবা। কিন্তু যতদিন না বাবা ওই সম্পর্কটা থেকে বেরোচ্ছিলেন, মা ফিরবেন না বলে ঠিক করে নিয়েছিলেন।’
যদিও পরবর্তীকালে রাজ কাপুরের মৃত্যুর পর পরকীয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন বৈজয়ন্তীমালা। তিনি দাবি করেছিলেন সবটাই নাকি রাজ কাপুরের প্রচারের লোভের জন্য করা। পালটা আক্রমণ শানিয়েছিলেন ঋষিও। বাবার অনুপস্থিতিতে এমন মিথ্যে দাবি কীভাবে করতে পারেন অভিনেত্রী? প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, একসঙ্গে দুটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রাজ কাপুর ও বৈজয়ন্তীমালা। ১৯৬১ সালে মুক্তি পেয়েছিল নজরানা আর ১৯৬৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল সঙ্গম। এর মধ্যে সঙ্গম ছবিটির পরিচালনা এবং প্রযোজনাও করেছিলেন রাজ কাপুর।