বাংলা হান্ট ডেস্ক: ব্রিটেনে (Britain) নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই সেখানে স্থিত হিন্দু মন্দিরগুলির জন্য বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। যার জেরে স্বভাবতই খুশি হিন্দুরা। জানা গিয়েছে যে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনক ব্রিটেনে স্থিত হিন্দু মন্দিরগুলির নিরাপত্তা বৃদ্ধির পথে হাঁটছেন। শুধু তাই নয়, ব্রিটেনে বসবাসরত হিন্দুদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেখানকার মন্দিরের নিরাপত্তার জন্য ৫০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুনাক সরকার।
এমতাবস্থায়, ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে যুক্ত সূত্রগুলি জানিয়েছে, হিন্দু ধর্মীয় স্থান ও গির্জার নিরাপত্তার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নতুন নীতিমালা তৈরির কাজ করছে। এই নতুন নীতি তৈরির পর ব্রিটেনের মন্দিরগুলিও মসজিদের মতো নিরাপত্তার জন্য ফান্ডিং পাবে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাককে এর আগে একাধিকবার বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করতে দেখা গিয়েছে।
২০২২ সালে একাধিক মন্দিরে হামলা হয়: উল্লেখ্য যে, ব্রিটেনে ৪০০-রও বেশি হিন্দু মন্দির রয়েছে। সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত তহবিল দিয়ে, হিন্দু মন্দিরগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। যেগুলি ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তার পর্যবেক্ষণ করবে। পাশাপাশি, হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনা কিভাবে মোকাবিলা করা যায় সেই বিষয়ে পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্যও অর্থব্যয় করা হবে। ২০২২ সালে, ব্রিটেনের ল্যাঞ্চেস্টারে বেশ কয়েকটি মন্দিরকে হামলার জন্য “টার্গেট” করা হয়েছিল।
আগে ৩০০ কোটি টাকার মধ্যে মন্দিরগুলি পেত মাত্র ২.৫ কোটি টাকা: জানিয়ে রাখি যে, ২ বছর আগে ব্রিটিশ সরকার ৩০০ কোটি টাকার একটি ধর্মীয় স্থান সুরক্ষা ফান্ডিং প্রকল্প ঘোষণা করেছিল। এর বেশির ভাগই গেছে ইসলামিক প্রতিষ্ঠানে। পাশাপাশি, বাকিদের দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে গুরুদ্বার পেয়েছে ৭ কোটি টাকা আর হিন্দু মন্দির পেয়েছে মাত্র ২.৫ কোটি টাকা। যার জেরে ব্রিটেনের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বহু হিন্দু জানিয়েছেন, ধর্মীয় স্থানের নিরাপত্তায় ফান্ডিংয়ে বৈষম্য করা ঠিক নয়।
আরও পড়ুন: বিছানায় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, সেখানেই শুয়ে রয়েছেন বিজেপি জোটের নেতা, ছবি ভাইরাল হতেই….
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনক অর্ধাঙ্গিনী অক্ষতাকে নিয়ে অক্ষরধাম মন্দিরে পৌঁছেছিলেন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক তাঁর স্ত্রী অক্ষতা মূর্তিকে নিয়ে ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বরে দিল্লির অক্ষরধাম মন্দিরে পৌঁছেছিলেন। স্বামীনারায়ণ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত দু’জনকেই স্বাগত জানান এবং তারপর তাঁরা মূল মন্দিরে গিয়ে পূজা-অর্চনায় অংশগ্রহণ করেন। ঋষি এবং তাঁর স্ত্রী প্রায় ৪৫ মিনিট মন্দিরে ছিলেন। তাঁরা মূল মন্দিরের পেছনে অবস্থিত আরেকটি মন্দিরে জলাভিষেক করেন। এদিকে, তাঁদের নিরাপত্তার জন্য মন্দিরের ভেতরে ও বাইরে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মুসলিমরাই প্রথম দেন “ভারত মাতা কি জয়” ও “জয় হিন্দ” স্লোগান! CAA-র সমালোচনা করে জানালেন বিজয়ন
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক রামকথায় যোগ দিয়ে জয় “শ্রী রাম স্লোগান” দেন: এদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক মোরারি বাপুর রামকথাতেও অংশ নেন। ব্রিটেনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলা এই রামকথায় উপস্থিত হয়ে সুনক বলেছিলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, একজন হিন্দু হিসেবে সেখানে যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি, সেই সময়ে তিনি “জয় শ্রী রাম” স্লোগানও দেন।