বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিয়ের ১৫ বছর পর স্বামী সন্তান ফেলে বাজারে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেপাত্তা বধূ। স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন স্বামী। পুলিশের সাহায্যও চেয়েছেন তিনি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার রিষড়ায়। এহেন ঘটনার জেরে কার্যতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা যাচ্ছে রিষড়ার মোড় পুকুর আদর্শনগর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন কবিতা সিং। তাঁর স্বামী ধর্মেন্দ্র সিং একটি ট্রাভেল এজেন্সি চালান রিষড়াতেই। করোনার জেরে ব্যবসায় ভাটা ধর্মেন্দ্রর। তাই সংসারে খানিক টানাটানি থাকলেও ছিল না কোনো অশান্তি। একটি ১৩ বছরের ছেলে এবং ৬ বছরের মেয়ে রয়েছে ওই দম্পতির।
সপ্তাহখানেক আগে সকালবেলা বাজার করতে যাওয়ার নাম করে বেরিয়ে বেপাত্তা হয়ে যান কবিতা। বহু সময় পেরোলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় চারিদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্বামী ধর্মেন্দ্র। কিন্তু লাভ হয়নি কোনো কিছুতেই। বাড়ি থেকে বেরোনর পরই নিজের মোবাইলটি সুইচ অফ করে দেন ওই বধূ। ফলে কোনোমতেই যোগাযোগ করা যায়নি তাঁকে। স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে শেষমেষ পুলিশের দ্বারস্থ হন ধর্মেন্দ্র। থানায় গিয়ে স্ত্রীকে খুঁজে দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। এমনকি স্যোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেও কবিতাকে ফিরে আসার আর্জি করেছেন ধর্মেন্দ্র। পুরো ঘটনাটিকে মানসিক ভাবে অত্যন্ত ভেঙে পড়েছেন তিনি।
ধর্মেন্দ্র বলেন ‘বাচ্চা মেয়েটা সারাদিন ধরে কাঁদছে মায়ের জন্য। কীভাবে সামলাবো বুঝতে পারছি না কিছুই। গত ১৫ বছরে একবারও অশান্তি হয়নি আমাদের। কবিতা যদি ফিরে আসতে চায় আমি ঘরে ফিরিয়ে নেব। সন্তানদের জন্য অন্তত যেন ফিরে আসে ও’। তাঁর দাবি, বেশ কিছুদিন ধরে রাত জেগে স্যোশাল মিডিয়ায় কারও সঙ্গে চ্যাট করতেন কবিতা। সেই ব্যক্তির ফাঁদে পা দিয়েই ঘর ছেড়েছেন স্ত্রী, এমনটাই মনে করছেন তিনি। বাড়ি ছাড়ার সময় থেকেই মোবাইলটি স্যুইচ অফ করে দেন ওই বধূ। তাই পুলিশের পক্ষে এখনও তাঁর ‘লোকেশন’ জানা সম্ভব হয়নি। ওই বধূর খোঁজে তদন্ত চালাচ্ছে রিষড়া থানার পুলিশ।