বাংলাহান্ট ডেস্ক : দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে এসেছে বর্ষা (Wet Season)। তবে দেশে বর্ষার দেখা মিললেও সেভাবে হচ্ছে না বৃষ্টি। আর তাই মনভার দেশবাসীর। এখনও তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা বঙ্গবাসীর (West Bengal)। আর এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন কৃষকেরা। সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আমজনতার কপালে।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি এবার ঊর্ধ্বমুখী আদার (Ginger) দাম। ৩৬৫ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি করছে আদা। সূত্রের খবর, গোটা দেশে যে পরিমাণ আদার চাহিদা রয়েছে সেই পরিমাণ যোগান না থাকার কারণেই ক্রমশ দাম বাড়ছে আদার।
সম্প্রতি এই ঘটনা প্রসঙ্গে গড়িয়াহাট বাজারের জনৈক্য বিক্রেতা মনোরঞ্জন বসু সংবাদমাধ্যমে জানান, ‘রাজ্যে যে পরিমাণ আদার চাহিদা রয়েছে সেই পরিমাণ যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। মাত্র ৪৫ শতাংশ আদার যোগান রয়েছে আমাদের দেশে। আবার মূল উৎপাদক এবং রপ্তানিকারক দুই রাজ্য হল আসাম এবং মণিপুর। বর্তমানে এই দুই রাজ্য থেকেই আদা এ রাজ্যে আসা বন্ধ হয়েছে ‘।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে এক বিক্রেতা ঋদ্ধি মুখার্জী জানান, ‘আদা কিনতে গিয়ে পকেটের ছেঁকা লাগছে’। যদিও পোস্তা বাজারের ব্যবসায়ী সমিতি বলছে একেবারেই অন্য কথা। মণিপুর ক্রাইসিস তত্ত্ব সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী সমিতি।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক চন্দন চক্রবর্তীর জানান, ‘পশ্চিমবঙ্গ আদার অন্যতম প্রধান আমদানিকারী। তবে বর্তমানে আদার ফলন কম হচ্ছে। দক্ষিণ ভারত থেকে আদার আমদানি কমে গেছে। আবার উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলি থেকে দীর্ঘ পথে উত্তরবঙ্গ হয়ে দক্ষিণবঙ্গে আসছে আদা। আর সে কারণেই বাড়ছে দাম’।
যদিও তাঁর দাবি, বাংলাদেশে আদার দাম অনেকটাই কম। ভারতীয় মুদ্রায় বাংলাদেশ আদার দাম ৩০ বা ৪০ টাকার মধ্যে। তবে আমাদের দেশে আদার দাম বাড়ছে লাফিয়ে। আসলে বাংলাদেশে আদা পাঠানো অনেকটাই সুবিধা হচ্ছে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির। তবে আমাদের দেশে ঘটছে সেই ব্যতিক্রম।