বাংলা হান্ট ডেস্ক: হোলির ঠিক প্রাক্কালে ভোজ্য তেলের ঊর্ধ্বমুখী দামের জেরে ফের বিপদে পড়েছেন গ্রাহকেরা। এমনিতেই ক্রমশ বেড়ে চলা রান্নার তেলের দাম বৃদ্ধিতে কার্যত আগুন লেগেছিল গৃহস্থের হেঁসেলে। তবে, ফের এই দাম বৃদ্ধি যে আরও সমস্যায় ফেলেছে সবাইকে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।যদিও, ভোজ্যতেলের ক্রমশ দাম বৃদ্ধির পর কেন্দ্রও তৎপর হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তেলের দাম কমাতে রাজ্যগুলির সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করেছে সরকার। এছাড়াও, তেল উৎপাদনকারীদের পাশাপাশি রপ্তানিকারীদের সঙ্গেও দফায় দফায় আলোচনা করেছে কেন্দ্র।
জানা গিয়েছে যে, কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে এনফোর্সমেন্ট মেশিনারি স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধি রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতেও বলা হয়েছে। এছাড়াও, রাজ্যগুলিকে তেলের মজুত এবং দাম বৃদ্ধির বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে এবং জেলা স্তরে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।এদিকে, গত এক সপ্তাহে, রিফাইন্ড তেলের দাম লিটারে প্রায় ২৫ টাকা এবং বাদামের দাম প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। যার ফলে ভোজ্য তেলের ক্রমবর্ধমান দাম আগামী দিনে নতুন উচ্চতায় পৌঁছতে পারে।
পাশাপাশি, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, গত মাসে দেশীয় ভোজ্য তেলের দাম প্রায় ২৫-৪০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে সূর্যমুখী তেল, পাম তেল এবং সয়াবিন তেলের সরবরাহ বহুগুণ ধাক্কা খেয়েছে। এদিকে, ইউক্রেন থেকে সূর্যমুখী সরবরাহের চাপ ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি নীতিকে আরও প্রভাবিত করেছে। যার কারণে পাম তেল আমদানিতেও প্রভাব পড়েছে। এছাড়াও, যুদ্ধের জেরে দক্ষিণ আমেরিকায় ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় সয়াবিন তেলের সরবরাহও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এদিকে, মাত্র এক মাসের মধ্যেই ভোজ্য তেলের দাম প্রতি লিটারে ১২৫ টাকা থেকে বেড়ে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। পাশাপাশি, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, মে বা জুন মাসে এই দাম আরও বাড়তে পারে। তবে, এই দাম বৃদ্ধির কারণ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করলেও তা যে নিশ্চিতভাবে গ্রাহকদের পকেটে টান ফেলবে তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে।