বাংলাহান্ট ডেস্ক : টলিপাড়ায় প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে দুই অন্যতম নাম শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra) এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তাঁদের মধ্যে পেশাগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাপিয়ে যায় করোনা কালে। সে সময় সরাসরি ঋতুপর্ণার দিকে আঙুল তুলেছিলেন শ্রীলেখা (Sreelekha Mitra)। টলিউডে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি প্রসেনজিৎ ঋতুপর্ণা জুটির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি আরজিকর কাণ্ডেও টলি নায়িকাকে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছিল শ্রীলেখাকে (Sreelekha Mitra)।
ঋতুপর্ণাকে কটাক্ষ শ্রীলেখার (Sreelekha Mitra)
আরজিকর কাণ্ডে নির্যাতিতার জন্য ন্যায়বিচার চাইতে গিয়ে শঙ্খ বাজানোর ভিডিও পোস্ট করেছিলেন ঋতুপর্ণা। ওই ভিডিওর জেরে তুমুল ট্রোলড হতে হয়েছিল তাঁকে। শুধু তাই নয়, পরবর্তীকালে শ্যামবাজারে রাত দখলের কর্মসূচিতে গিয়ে উন্মত্ত জনতার মুখে পড়েন ঋতুপর্ণা। কার্যত পালিয়ে বেঁচেছিলেন তিনি। সে সময়ও টলিউডের অনেকেই অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে ওই ঘটনার নিন্দা করলেও ব্যতিক্রমী ছিলেন শ্রীলেখা (Sreelekha Mitra)। টলি নায়িকার বিরুদ্ধেই ফের মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
আরো পড়ুন : অভিষেকের সঙ্গে টলমল ঐশ্বর্যের দাম্পত্য, এদিকে আরাধ্যাকে জড়িয়ে ধরলেন সলমন! কেসটা কী?
কী বলেছিলেন নায়িকা
সংবাদ মাধ্যমকে শ্রীলেখা (Sreelekha Mitra) সে সময় বলেছিলেন, যা হয়েছে বেশ হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ঢং’ করে শাঁখ বাজাতে গিয়েছিলেন কেন ঋতুপর্ণা? প্রশ্ন তুলেছিলেন শ্রীলেখা (Sreelekha Mitra)। তিনি আরো বলেছিলেন, শ্যামবাজারের ঘটনার জন্য যাঁরা ঋতুপর্ণার প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছিলেন তাঁদের নাকি তিনি মানুষ বলেই গণ্য করেন না। এবার এর জবাব দিলেন ঋতুপর্ণা।
আরো পড়ুন : কাজ পেতে গেলে শুতে হবে! সুপারহিট ছবির নায়ককে কুপ্রস্তাব, প্রকাশ্যে বলিউডের নোংরা দিক
জবাব দিলেন ঋতুপর্ণা
শ্যামবাজারের বিতর্কিত ঘটনার পর তিনি সিঙ্গাপুরে চলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই আরজিকর কাণ্ডে লাগাতার সরব হতে দেখা গিয়েছিল নায়িকাকে। এখন অবশ্য পুজোর আবহে কলকাতায় ফিরে এসেছেন ঋতুপর্ণা। এবার শ্রীলেখাকে (Sreelekha Mitra) পালটা কটাক্ষ শানালেন অভিনেত্রী। সংবাদ মাধ্যমে ব্যাঙ্গাত্মক সুরে ঋতুপর্ণার প্রশ্ন, ‘কে উনি আমি চিনিই না, উনি কে? আমি কিচ্ছু বলতে চাই না’।
এখানেই না থেমে ঋতুপর্ণা আরো বলেন, কাউকে ছোট করে নিজে বড় হওয়া যায় না, এটা তাঁর বিশ্বাস। ট্রোল ঋতুপর্ণার নিত্যসঙ্গী। আরজিকর কাণ্ডের আগেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নেটপাড়ায় তীর্যক মন্তব্য সইতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু অভিনেত্রীর স্পষ্ট কথা, এসব ট্রোল তিনি গায়েই মাখেন না। এত বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি যেটুকু যা হয়েছেন সবটাই নিজের পরিশ্রম দ্বারা অর্জিত। শ্যামবাজারে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অন্যদের মতোই নির্যাতিতার জন্য বিচার চাইতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে গিয়ে হেনস্থা হতে হয় তাঁকে। এ বিষয়ে ঋতুপর্ণা বলেন, ওই ঘটনার পর তাঁর উপলব্ধি হয়েছে যে মানুষের মানসিকতার কতটা অবনতি হয়েছে। ওই মানুষগুলো আদৌ প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন নাকি স্রেফ হুজুগে গিয়েছিলেন তা তিনি জানেন না। এদিকে শ্রীলেখা পালটা কটাক্ষ শানিয়েছেন ঋতুপর্ণাকে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নাকি ‘সিলেকটিভ ডিমেনশিয়া’ হয়েছে নায়িকার।