বাংলাহান্ট ডেস্ক: অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের (Abhishek Chatterjee) প্রয়াণের পর এটাই প্রথম জন্ম বার্ষিকী। সকালেই স্বামীর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ছবি শেয়ার করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্ত্রী সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায় (Sanjukta Chatterjee)। আরেকজনও আজ ‘মিঠু’র স্মৃতিতে কলম ধরেছেন। সেই সঙ্গে জবাব দিয়েছেন নিজের দিকে ওঠা অভিযোগগুলোরও। তিনি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)।
অভিষেকের মৃত্যুর পর থেকে সবথেকে বেশি চর্চায় যাঁরা উঠে এসেছিলেন তাঁরা হলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। অভিষেক নিজে অভিযোগ করেছিলেন, ইন্ডাস্ট্রির ‘দাদা’ আর ‘দিদি’ ষড়যন্ত্র করে তাঁকে বহু ছবি থেকে বাদ দিয়েছেন।
পরে একই সুর শোনা গিয়েছিল স্ত্রী সংযুক্তার কণ্ঠেও। অভিষেকের সহকর্মীদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার গুজবকে নস্যাৎ করে তিনি দাবি করেছিলেন, সামান্য শোক বার্তা টুকুও জানাননি প্রথম সারির তারকারা। এবার সেই সব অভিযোগেরই পালটা উত্তর দিলেন ঋতুপর্ণা।
আনন্দবাজার অনলাইনের হয়ে কলম ধরে প্রশ্ন তুললেন, যে মানুষটা চলে গিয়েছে তাঁকে নিয়ে এত কাঁটাছেঁড়া কেন? অভিষেক নায়ক হিসাবে তাঁর সঙ্গেই সবথেকে বেশি ছবিতে কাজ করেছে। তাঁদের জুটি। টলিউডকে মুখ থুবড়ে পড়ার হাত থেকে বাঁচিয়েছিল। একজন ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যজনের কাজ কেড়ে নিতে পারে না। এই ভুল ধারনা আমাদের মাথায় ঢোকানো হয় বলে দাবি ঋতুপর্ণার।
তিনি নিজে আগেও লড়াই করেছেন আর এখনো পর্যন্ত করছেন বলে জানান অভিনেত্রী। একটা সময়ে ইন্ডাস্ট্রির সবথেকে বড় নায়কের সঙ্গে তাঁর কাজ করা বন্ধ হয়ে যায়। নতুন পরিচালক, প্রযোজকদের সঙ্গেও ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু প্রতিকূল অবস্থার তো তিনি তো কাউকে দোষারোপ কলেননি। এখনো পর্যন্ত তাঁকে টিকে থাকার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে, বক্তব্য ঋতুপর্ণার।
অভিষেকের স্ত্রী সংযুক্তা নাম না নিয়েই বলেছিলেন, “তাঁরা অভিষেকের কেরিয়ার নষ্ট করে দেওয়ার জন্য যা যা করার সব করেছে। যে সময় অভিষেক কেরিয়ারের শীর্ষে ছিল, সেই সময় ২২ টি ছবি থেকে অভিষেককে সরিয়ে দিয়েছিল তাঁরা। তাঁরা নাকি আমাকে অর্থ সাহায্য করেছেন! শোকবার্তাই পাঠায়নি আর ব্যক্তিগতভাবে অর্থ সাহায্য তো দূরের কথা।”
এটাও নাকি মিথ্যে রটনা বলে দাবি ঋতুপর্ণার। অভিষেকের মৃত্যুদিনে গুজরাটে ছবির শুটিং করছিলেন তিনি। দীর্ঘদিনের মেকআপ শিল্পীর কাছে খবর পেয়ে তাঁরই ফোনে সংযুক্তার সঙ্গে কথা বলেছিলেন ঋতুপর্ণা। সাক্ষী ছিলেন ইন্দ্রাণী দত্ত। তবুও তাঁর নামে এমন ভুল কথা কেন ছড়ানো হল তা জানেন না ঋতুপর্ণা।