বাংলাহান্ট ডেস্ক : আরজিকর কাণ্ড নিয়ে প্রথম থেকেই নেটিজেনদের সমালোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। তিলোত্তমার ‘পূর্ণ বিচার’ চেয়ে শঙ্খ বাজানোর ভিডিও শেয়ার করার পর থেকেই লাগাতার ট্রোলের সম্মুখীন হয়ে চলেছেন তিনি। এমনকি রাত দখলের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েও গো ব্যাক স্লোগান নিয়েছেন ঋতুপর্ণা (Rituparna Sengupta)। ক্ষুব্ধ জনতার সামনে পড়ে কার্যত পালিয়ে বেঁচেছেন অভিনেত্রী। তবুও আরজিকর (RG Kar Case) নিয়ে প্রতিবাদে সরব হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
আরজিকর দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুললেন ঋতুপর্ণা (Rituparna Sengupta)
আরজিকর হাসপাতালকে ঘিরে একাধিক দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে আসছে। এমনকি মৃতদেহ নিয়ে অ্যাডাল্ট ফিল্ম শুট করা হত কিনা তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। এমতাবস্থায় মরণোত্তর দেহদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকের মনেই ধন্দ রয়েছে। অথচ ঋতুপর্ণা (Rituparna Sengupta) অনেকদিন আগেই এই বড় পদক্ষেপটি নিয়ে রেখেছেন। এখন কি সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর মনে কোনো আক্ষেপ হচ্ছে? সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ কি ভয় জাগাচ্ছে নায়িকার মনে?
আরো পড়ুন : সৃজিতের ছবিতে ‘জীবন্ত’ মহানায়ক, বিনা পারিশ্রমিকে উত্তম কুমার হলেন কে!
আগেই করে রেখেছেন মরণোত্তর দেহদান
২০১৪ সালেই মরণোত্তর দেহদান করেছিলেন ঋতুপর্ণা (Rituparna Sengupta)। সেই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরের ছবি আজও রেখে দিয়েছেন তিনি। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম খ্যাতনামা অভিনেত্রী হিসেবে এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে নজির সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু আরজিকর নিয়ে যে সমস্ত দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে আসছে তাতে কি তাঁর মনে হচ্ছে যে মরণোত্তর দেহদান না করলেই ভালো হত?
আরো পড়ুন : ‘সরাসরি বিছানায় যাওয়ার প্রস্তাব…’, টলিউডে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঋতাভরীর সঙ্গে!
পরিবারকে দেখেই সিদ্ধান্ত
এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে ঋতুপর্ণা (Rituparna Sengupta) বলেন, ‘আমি মনে করি আরো কিছুটা সময় রয়েছে। আমার মৃত্যুর আগে অরাজকতা কমবে, এই আশা রাখি’। তিনি আরো বলেন, মরণোত্তর দেহদান নিয়ে অনেকের বিভ্রান্তি থাকলেও তাঁর মনে এমন কোনো বিভ্রান্তি ছিল না। তাঁর নিজের পরিবারে পিসি, পিসেমশাই মরণোত্তর দেহদান করেছেন। তাঁদের দেখেই উদ্বুদ্ধ হয়েছেন ঋতুপর্ণা (Rituparna Sengupta)।
আরজিকর এর ঘটনা সকলের মনেই ছাপ ফেলেছে। উপরন্তু বিভিন্ন দুর্নীতির খবরে মৃত্যুর পরেও নিরাপত্তার অভাব নিয়ে চিন্তিত অনেকেই। তবে ঋতুপর্ণার মতে, মরণোত্তর দেহদানের সিদ্ধান্তটা তিনি অন্তর থেকে নিয়েছিলেন। মৃত্যুর পরেও যদি তাঁর এই পদক্ষেপ সমাজের উপকারে লাগে তাহলে তিনি খুশি হবেন বলে মন্তব্য করেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।