বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর পর সম্প্রতি রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর (Rituparna Sengupta)। ভোটের মধ্যেই জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণাকে রেশন মামলায় প্রথম তলব করেছিল ইডি। সেই তলবে সাড়া না দিলেও দ্বিতীয়বার ইডির (ED) মুখোমুখি হন ঋতুপর্ণা। গত বুধবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছেন তিনি। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিনেত্রীকে।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল, রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার এক অভিযুক্তের সঙ্গে টলিউড অভিনেত্রীর প্রায় এক কোটি টাকা নগদ লেনদেনের হদিস মিলেছে। বিপুল এই অর্থ সম্পর্কে জানতেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তদন্তে নেমে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছিলেন ঋতুপর্ণার একটি সংস্থায় এই দুর্নীতির কয়েক লক্ষ টাকা ঢুকেছে।
সূত্রের খবর, ইডি জেরায় ঋতুপর্ণা জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে তার সংস্থায় ৬০ লক্ষ টাকা ঢুকেছিল ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মাধ্যমে। এর মধ্যে দু’বছর পর ২০১৫ সালে ২০ লক্ষ টাকা তিনি ফেরতও দিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। হাজিরা দিয়ে ইডি আধিকারিকদের কাছে অভিনেত্রী এই সংক্রান্ত নথিও দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, অভিজিৎ দাস নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে একটি হিন্দি ছবি তৈরির ঋতুপর্ণার সংস্থায় টাকা ঢুকেছিল। সেই সময় নিজেকে ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন সেই অভিজিৎ। তদন্তে উঠে এসেছে এই অভিজিৎ জেলবন্দি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।
আরও পড়ুন: গরম হবে হাওয়া, আজ থেকে বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গের ১০ জেলায়: আবহাওয়ার খবর
সূত্রের খবর, ঋতুপর্ণার সেই হিন্দি ছবি তৈরি হয়ে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্রও পায়। কিন্তু কোনও এক কারণে তা আজও মুক্তি পায়নি। ইডির কাছে নিজের ও সংস্থার সব নথি, ছবি তৈরির চুক্তিপত্রও, টাকা ফেরতের নথি সমেত একাধিক ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিয়েছেন অভিনেত্রী।
এদিন সিজিও থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে ঋতুপর্ণা জানান, “আমার যাচ্ছে কিছু নথি চাওয়া হয়েছি, সেগুলো আমি দিয়েছি। ওরাও সহযোগিতা করেছে, আমিও করেছি। এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারব না।”