ভাইফোঁটার কথা ভেবেই মন খারাপ, দীপাবলীর আনন্দের মাঝেও বিষন্ন ঋতুপর্ণা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: চোখ রাঙাচ্ছে সিত্রাং। সোমবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। তবুও দীপাবলীর উদযাপনে খামতি নেই রাজ‍্যবাসীর। আলোয় সেজেছে রাস্তা, বাড়িঘর, আতশবাজি ফাটানোর আওয়াজও পাওয়া যাচ্ছে দিব‍্যি। কিন্তু আনন্দের মাঝেও একটু মন খারাপ অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর (Rituparna Sengupta)।

কালীপুজোর দিন ছোটবেলার স্মৃতিচারণা করেছেন ঋতুপর্ণা। সংবাদ মাধ‍্যমের কাছে তিনি জানান, দীপাবলী মানেই তাঁর কাছে আলোর উৎসব। সারা বাড়ি প্রদীপ দিয়ে সাজান তিনি। ছোটবেলাতেও কালীপুজোর দিনটা খুব স্পেশ‍্যাল ছিল ঋতুপর্ণার কাছে। তিনি জানান, টালা পার্কে তাঁদের গুরুদেবের উৎসব হত। ঠাকুমার সঙ্গে ঋতুপর্ণাও যেতেন সেখানে।

Rituparna 1
সেখান থেকে ফিরে চলত মিষ্টি খাওয়া আর বাজি ফাটানোর পর্ব। পাড়ায় পাড়ায় বাজি ফাটানোর চল ছিল তখন। তবে ঋতুপর্ণার বেশি প্রিয় ছিল ফুলঝুরি আর রঙ মশাল। আর যে বছর তাঁর জন্মদিনের আগে পরে কালীপুজো পড়ত সে বছর আনন্দটাও বেড়ে যেত।

আনন্দের মাঝেও খানিক বিষাদের সুর ঋতুপর্ণার কথায়। কালীপুজোর পরে ভাইফোঁটার প্রসঙ্গ উঠতেই ফের স্মৃতিমেদুর অভিনেত্রী। এক পিসতুতো দাদাকে হারিয়েছেন তিনি। ভাইফোঁটার দিন সকালে ঋতুপর্ণার কাছে ফোঁটা নিয়ে তারপরেই অফিস যেতেন তাঁর সেই দাদা। জিজ্ঞাসা করতেন, ‘চুমকি’র (ঋতুপর্ণা) কী লাগবে? সেটাই তিনি এনে দেবেন।

সেসব মনে করেই মন খারাপ ঋতুপর্ণার। এমন ভাবে বলার মানুষগুলো কমে আসছে, মন্তব‍্য করেন তিনি। এখন অনেকটা সময় সিঙ্গাপুরে কাটান ঋতুপর্ণা। সেখানেও ধুমধাম করে দিওয়ালি উদযাপন করেন তিনি। সুন্দর পার্টি হয় সেখানে। তবে বাজি ফাটানোয় কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে জানান ঋতুপর্ণা।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর