বাংলাহান্ট ডেস্ক : কোক স্টুডিওতে (Coke Studio) গান গেয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছেন সংগীতশিল্পী ঋতুরাজ বৈদ্য (Rituraj Baidya) । তবে সম্প্রতি অদ্ভুত এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছেন তিনি। আর সে কারণে বেশ কয়েকদিন জেলে কাটাতে হয়েছে সংগীতশিল্পীকে। খসাতে হয়েছে মোটা অংকের জরিমানা। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঋতুরাজের আইনজীবী।
ঠিক কি ঘটেছিল?
জানা যাচ্ছে, এপ্রিল মাসের ১৭ তারিখ রাত দশটা নাগাদ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশান দু নম্বর এলাকায় রূপায়ণ টাওয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুর রহমানের গাড়ি। ভেতরেই ছিলেন গাড়িচালক অতুলচন্দ্র মন্ডল। সেই সময় নাকি মদ্যপ অবস্থায় সেখানে হাজির হন ঋতুরাজ। গাড়ি চালককে বলেন গাড়ি সরাতে। অভিযোগ দেরি হওয়ার কারণে গাড়িতে ভাঙচুর চালান তিনি।
এখানেই শেষ নয়। অতুল চন্দ্র মন্ডল-এর পকেটে থাকা ৩,২৫০ টাকাও ছিনিয়ে নেন ঋতুরাজ। তিনি যে সম্পূর্ণ মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন তা বুঝতে খুব বেশি দেরি হয়নি গাড়ি চালকের। এরপরেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তার প্রাথমিক পরীক্ষা করেন।
ঘটনার দিন রাতেই গুলশান থানার উপ পরিদর্শক হোসনে মোবারক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। পরের দিন অর্থাৎ ১৮ এপ্রিল কারাগারে বন্দী করা হয় সংগীতশিল্পীকে। অন্যদিকে গুলশান থানায় একটি পৃথক মামলা করেন অতুলচন্দ্র মন্ডল। আর সে কারণে প্রায় ২৬ তারিখ পর্যন্ত কারাগারেই থাকতে হয় তাঁকে।
যদিও ঋতুরাজ-এর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁর আইনজীবী আল মামুন রাসেল। তিনি বলেন, ‘এ সমস্ত ঘটনার সঙ্গে মোটেই জড়িত নন ঋতুরাজ বৈদ্য। আদালতে যখন মামলা উঠেছিল তার পরেই জামিন মঞ্জুর করে দেওয়া হয়। আপাতত গুলশান থানার উপ পরিদর্শক এছকান্দার আলী এই মামলার তদন্ত করছেন। সঠিক সময় তিনি আদালতে দাখিল করবেন প্রতিবেদন।