বাংলাহান্ট ডেস্ক: ঋত্বিক চক্রবর্তী (Ritwick Chakraborty) এবং তাঁর হাতের পুতুল দুই-ই আপাতত মার্কেট কাঁপাচ্ছেন। অবশ্য অভিনেতার কথায়, তাঁর হাতের পুতুল ইতিমধ্যেই হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। কখনো পার্শে, বোয়াল বলে ব্যঙ্গ করছে, আবার কখনো রঙ বিতর্কে নাক গলাচ্ছে। আর ‘বড়দা’ হিসাবে ফেঁসে যাচ্ছেন ঋত্বিক।
কীরকম? বেশ কিছুদিন ধরেই অভিনেতার ফেসবুক প্রোফাইলের মুখ্য আকর্ষণ হয়ে উঠেছে তাঁর হাতের পুতুল। সাদা কালো ডোরাকাটা এক বাঘ ঋত্বিককে ‘বড়দা’ বলে ডাকে। তাঁর সঙ্গেই বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর যাবতীয় আলাপ আলোচনা। আর বিষয়গুলো প্রায় সব সময়েই হয় বিতর্কিত।
এবারে যেমন রঙের ধরণ ধারণ নিয়ে পড়েছে পুতুল। বড়দার কাছে তার প্রশ্ন, ক্যামেরার সামনে চিবিয়ে চিবিয়ে গাজর খেলেও কি আপত্তি উঠবে? কেন? তৎক্ষণাৎ পুতুলের বিজ্ঞ উত্তর, আরে বড়দা গাজরের রঙটা একবার ভাবো! কী একটা গানে ব্যবহার হয়েছে। তাই নিয়ে যত ঝামেলা। বুঝতে পেরেই খানিক অপ্রস্তুত ঋত্বিক। কিন্তু হাতের পুতুল তখনো বলে চলেছে।
রঙের আবার কী শুভ, অশুভ, রাজনীতি? সবটাই অর্থহীন পুতুলের কাছে। বলতে বলতেই নিজের এক বন্ধুকে এনে হাজির করে হাতের পুতুল। তার আগেই হৃতিককে তার সাবধানবাণী, রঙ নিয়ে কোনো আপত্তি করা চলবে না। এদিকে নতুন বন্ধুকে দেখেই অভিনেতার চোখ ছানাবড়া। গেরুয়া রঙের শরীর, মাথায় আবার সবুজ ঝাঁকড়া চুল। গোল গোল চোখ আর এক বিরাট মুখ নিয়ে হাজির নতুন বন্ধু। সে অবশ্য কোনো মন্তব্য করেনি, শুধু রিয়্যাকশন দিয়েই তার কাজ শেষ।
বিতর্কিত বিষয় নিয়ে এমনতরো মজা করাতেই পুতুল হাতের বাইরে চলে গিয়েছে বলে মনে করেন ঋত্বিক। এর আগে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে বাঙালিদের মাছ খাওয়া নিয়ে পরেশ রাওয়ালের অবমাননাজনক মন্তব্যের তীক্ষ্ণ জবাব দিয়েছিল ঋত্বিকের হাতের পুতুল। পরেশ রাওয়ালকে পার্শে, বোয়াল বলে কটাক্ষ সে। এবার তার ইঙ্গিত যে ‘ রঙ’ এর দিকে তা বুঝতে বাকি থাকেনি কারোরই।