বাংলাহান্ট ডেস্ক : মহাকাশে নিজের আধিপত্য স্থাপন করাই যেন এই মুহূর্তে একমাত্র লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যপূরণের জন্যই স্টারলিঙ্কই হোক কিংবা টয়োটা, কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিতে নারাজ। তাই এবার সরাসরি জাপানের গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা টয়োটা সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও ধনকুবের ইলন মাস্ককে (Elon Musk)।
চাপের মুখে ইলন মাস্ক (Elon Musk)
ইতিমধ্যেই টয়োটার (Toyota) পক্ষ থেকে বড়সড় আপডেট এসেছে। টয়োটা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এক স্টার্ট আপ সংস্থার দিকেই। আর এই স্টার্ট আপ কোম্পানি ইন্টারস্টেলার হচ্ছে স্টারলিঙ্কের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রচুর হাল্কা ওজনের রকেট তৈরি করা হবে। তার জন্য আগামী দিনে ৪ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
বলা বাহুল্য জাপান (Japan) এতদিন পর্যন্ত মহাকাশের দখলদারি নিয়ে খুব একটা মাথা না ঘামালেও মাস্কের (Elon Musk) সংস্থাটি কিন্তু সারা বিশ্বেই ইতিমধ্যে একচেটিয়া অধিকার কায়েম করে ফেলেছে। রকেট তৈরিতেও বেশ নজর কেড়েছে। অন্যদিকে, পিছিয়ে নেই চিনও। তবে, এবার জাপান ময়দানে নামতেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্পেস ওয়ারে-র মানচিত্রে বদল আসবে শিগগিরই।
আরোও পড়ুন : হাসিনাকে নিয়ে স্নায়ুর লড়াই! বাংলাদেশ পাসপোর্ট বাতিল করতেই এবার ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ ভারতের
পরিসংখ্যানের দিকে খেয়াল করলে দেখা যাবে, বছরভর আমেরিকা ও চিন প্রায় শতাধিক রকেট লঞ্চ করে থাকে। সেক্ষেত্রে জাপান কিন্তু সংখ্যাটাকে দু অঙ্কেও নিয়ে যেতে পারে নি। এই ঘাটতি মেটাতেই জাপান সরকারের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে রকেট (Rocket) উৎক্ষেপণের সংখ্যাটা অন্তত তিরিশে নিয়ে যাওয়া। সেই কারণেই টয়োটার মতো জনপ্রিয় গাড়ি সংস্থার কারিগরি প্রকৌশল কাজে লাগবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
সম্প্রতি লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে সংস্থার চেয়ারম্যান আকিও টয়োডা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র গাড়ি বানানোর মধ্যেই তাদের সংস্থার কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ থাকবে না। মহাকাশ বাণিজ্যের মতো লাভজনক পরিসরেও কাজ করতে চান। রকেট উৎপাদন, বাণিজ্য ও গবেষণার খাতে সরকারি তরফে প্রায় ৫৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা করা হয়েছে।