বাংলাহান্ট ডেস্ক: জেল থেকে ছাড়া পেলেও বিপদের খাঁড়া এখনো ঝুলছে রোদ্দুর রায়ের (Roddur Roy) মাথার উপরে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করে ভিডিও বানানোর অভিযোগে গত জুন মাসে গ্রেফতার হন ইউটিউবার। পশ্চিমবঙ্গের পুলিস গিয়ে গোয়া থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে।
একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল রোদ্দুরের বিরুদ্ধে। ২০ দিন জেলে থাকার পর অবশেষে ছাড়া পান তিনি। জামিন পাওয়ার পর নিজের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত এফআইআর বাতিলের আবেদন করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ইউটিউবার।
কিন্তু হাইকোর্টের বিচারপতি তাঁর আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। সরকারের তরফের আইনজীবী শুনানির দিন রোদ্দুর রায়কে তাঁর আসল নাম অনির্বাণ রায় বলে সম্বোধন করায় বিচারপতি নাকি প্রথমটা হকচকিয়ে যান। তখন আইনজীবী স্পষ্ট করেন রোদ্দুর রায় এবং অনির্বাণ রায় দুজনে একই ব্যক্তি।
হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকার এও জানন, রোদ্দুর রায়ের ভিডিওটি তিনি কিছুটা দেখেছেন। কিন্তু পুরোটা দেখার মতো মানসিকতা হয়নি তাঁর। শিল্পীর স্বাধীনতার যুক্তি দিয়ে পুলিসের অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছিলেন রোদ্দুর রায়। এদিন তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। এরপরেই ইউটিউবারের যুক্তি খারিজ করে মামলা বাতিল করে দেন বিচারপতি।
এর আগে ‘অপা’ কাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করতে বলা হলে রোদ্দুর রায় জানিয়েছিলেন, তিনি ভিডিও বানাতে পারছেন না কারণ তাঁর ডিভাইস পুলিসের কাছে জমা। জামিন পেয়ে গেলেও মামলার জন্য ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে তাঁকে। এসব ঝামেলা মিটে গেলেই আবার আগের রূপে ফিরবেন বলে দাবি করেন রোদ্দুর।
ইউটিউবার আরো বলেছিলেন, বাক স্বাধীনতা সকলের আছে। কিন্তু সরকার চায় তার মতো করেই সবাইকে চালাতে। তাই নিজস্ব মত প্রকাশ করতে গেলে গ্রেফতার হতে হয়। যদিও রোদ্দুর বলেন, মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করে যে বিশেষ কিছু করা যায় না সেটা তিনি খুব ভালভাবেই বুঝে গিয়েছেন।