বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রোহিঙ্গা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ করতে তাদের কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলা হবে।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বৈঠকের পর সংবাদ মাধ্যমকে জানান, কক্সবাজার ও টেকনাফ এর রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ করতে তাদের কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে। রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ করতে রাখা হবে সশস্ত্র নিরাপত্তা কর্মী। করে নজর রাখতে বানানো হবে ওয়াচটাওয়ার। শুধু তাই নয় রোহিঙ্গাদের গতিবিধির ওপর সব সময় নজর রাখতে বসানো হবে সিসিটিভি।
মায়ানমারের সেনা অভিযানে সেখান থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা। অত্যাচারিত রোহিঙ্গাদের সেসময় আশ্রয় দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু যত সময় যায় পরিস্থিতি তত জটিল হয়ে উঠতে থাকে।সময়ের সাথে সাথে কক্সবাজার টেকনাফে রোহিঙ্গা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়তে থাকে। খুন রাহাজানি চুরি এমনকি কৃষি জমি দখল করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প গড়ে তোলা হয়েছে।
এতে সংকটে পড়েছে বাংলাদেশিরা। নিজেদের দেশে নিজেদেরকে সংখ্যালঘু মনে করছেন বাংলাদেশি। এই অবস্থায় বাংলাদেশ সরকার মায়ানমার সরকারকে অনুরোধ করেছিলেন রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে। বারবার অনুরোধ করার পরেও মায়ানমার থেকে কোনরকম প্রতিক্রিয়া আসেনি। অন্যদিকে বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতে চাইনি মায়ানমারে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেন রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ করার একমাত্র উপায় কাঁটাতার দিয়ে তাদের ঘিরে ফেলা। রোহিঙ্গাদের উৎপাতে এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে বসাতে হচ্ছে ওয়াচ টাওয়ার সিসিটিভি। সশস্ত্র নিরাপত্তা কর্মীদের কেউ নিয়োগ করা হচ্ছে।
কিন্তু রোহিঙ্গাদের কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেললে সেটি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত হচ্ছে কিনা প্রশ্ন করা হয় বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে। এর উত্তরে তিনি বলেন এর আগেও বিভিন্ন দেশে রোহিঙ্গাদের কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলার দৃষ্টান্ত দেখা গিয়েছে।