বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আইপিএলের দ্বিতীয় ভাগে দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল কেকেআর। প্রথমভাগে চূড়ান্ত খারাপ পারফরম্যান্সের পর দ্বিতীয়ভাগে একের পর এক ম্যাচ জিততে জিততে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল তারা। ফাইনালে হারতে হলেও ৭ বছর পরে দল ফাইনালে ওঠায় খুশি হয়েছিলেন কেকেআর সমর্থকরা। কেকেআরের এই অভাবনীয় উন্নতির পেছনে ছিলেন এক নতুন তারকা। তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার।
বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া আর সম্ভব ছিল না, কিন্তু ভালো পারফরম্যান্সের পুরস্কার স্বরূপ বিশ্বকাপের পরেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টি সিরিজে সুযোগ পেয়ে যান ভেঙ্কটেশ। কেকেআরের হয়ে ওপেন করতেন। কিন্তু সেই সুযোগ ভারতীয় দলে পাওয়ার কোনও সুযোগ ছিল না এই বাঁ হাতি ব্যাটারের। বাধ্য হয়েই মিডল অর্ডারে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হয় তাকে।
তিন ম্যাচে খুব বেশি ব্যাট হাতে সুযোগ পাননি। প্রথম ম্যাচে ইনিংসের একদম শেষ দিকে নেমে ২ বলে ৪ রান করে আউট হন। দ্বিতীয় ম্যাচে তার সংগ্রহ ১১ টি বল খেলে ১২ রান। তৃতীয় ম্যাচে আরও একটু বেশিক্ষণ ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে ১৫ বলে ২০ রান করেন। বিশাল নজরকাড়া পারফরম্যান্স না হলেও নতুন ব্যাটিং পজিশনে তার চেষ্টা প্রশংসাযোগ্য। সেই সঙ্গে তৃতীয় ম্যাচে তার হাতে বলও তুলে দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। প্রথম দুই ম্যাচে সুযোগ না এলেও দ্বিতীয় এই ম্যাচে ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১২ খরচ করে তুলে নেন একটি উইকেট।
ইদানীংকালে হার্দিক পান্ডিয়ার বিকল্প একজন অলরাউন্ডার খুঁজছিল ভারত। চোট সারিয়ে ওঠার পর থেকে বোলিংয়ে ধার কমেছে হার্দিকের। ব্যাট হাতেও বিশ্বকাপে বড় দলগুলোর বিরুদ্ধে ভালো কিছু করতে পারেননি হার্দিক। এখন নিজের অনভ্যস্ত পজিশনে যদি মানিয়ে নিতে পারেন ভেঙ্কটেশ তাহলে তার সামনে খুলে যেতে পারে জাতীয় দলে নিয়মিত খেলার সুযোগ। সেইজন্য অবশ্য ব্যাটিং ভালো করার পাশাপাশি তৃতীয় টি টোয়েন্টি-তে বল হাতে যে পারফরম্যান্সে দেখিয়েছেন তারই পুনরাবৃত্তি করতে হবে তাকে। কঠিন হলেও অসম্ভব নয় তার লক্ষ্য। যদিও ভেঙ্কটেশ সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়াকে নিজের প্রতিযোগী হিসাবে দেখছেন না। কিন্তু এই বিষয়টা অস্বীকার করার উপায় নেই যে জাতীয় দলে ঢুকতে গেলে তার মূল প্রতিপক্ষ হবেন হার্দিক-ই।