ফাইনাল হেরে ভাবনাচিন্তার ক্ষমতা হারিয়েছেন রোহিত! দোষ ঢাকতে দিলেন একটি অদ্ভুত অজুহাত….

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ বড় মঞ্চে কিভাবে জ্বলে উঠতে হয় সেটা বিরাট কোহলিদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন স্টিভ স্মিথরা। দলের প্রত্যেক তারকা ক্রিকেটার সময়মতো জ্বলে উঠলেন। ক্রিকেটপ্রেমীরা অস্ট্রেলিয়া দলে উসমান খাওয়াজা ছাড়া আর কাউকে দেখাতে পারবেন না যিনি ভারতের বিরুদ্ধে এই গুরুত্বপূর্ণ ফাইনালে ম্যাচের কোনও না কোনও অংশে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রাখেননি। অপরদিকে ভারতীয় দল নির্দিষ্ট কয়েকজনের ওপর নির্ভরশীল ছিল। ফলে যা হওয়ার ঠিক তেমনটাই হলো। ভারতকে ফাইনালে পরজদুস্ত করে নিজেদের প্রথম বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে নিলেন কামিন্সরা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন অ্যাশেজের আগে এই জয় তাদের বাড়তে আত্মবিশ্বাস জোগাবে।

এই গুরুত্বপূর্ণ রোহিত টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু একবার আবহাওয়ার মেঘলা ভাব কেটে যাওয়ার পর বোলাররা আর কোন বাড়তি সুবিধা পাননি এবং সেই পরিস্থিতির সম্পূর্ণ সুবিধা নিয়েছিলেন স্টিভ স্মিথ ও ট্র‍্যাভিস হেড। দুজনের ম্যাচের রিং টোন সেট করে দিয়েছিল। রোহিত শর্মা এই সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তি দেখিয়েছিলেন যে পিচটি পুরো সবুজ ছিল এবং ফাস্ট বোলাররা প্রথমে বাড়তি সাহায্য পাবেন এমনটা তার আশা ছিল। কিন্তু তেমনটা হয়নি এবং নিজের কেরিয়ারে অধিনায়ক হিসেবে প্রথমবার কোন ফাইনাল হেরেছেন রোহিত শর্মা।

তবে ম্যাচ ছাড়ার পর তিনি যে অজুহাতগুলি দিয়েছেন তা শুনে অনেকেই আশ্চর্য হয়েছেন। রোহিত শর্মা বলেছেন, “জুন মাস ছাড়াও অন্য সময় এই ফাইনাল খেলা যেতে পারে। আর ইংল্যান্ড ছাড়াও এমন অনেক দেশ আছে যারা এই ফাইনালের আয়োজনের দায়িত্ব নিতে পারবেন। এর পরের বার থেকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের জন্য একটি ৩ ম্যাচের সিরিজ আয়োজন করলে সেটাই আদর্শ হবে।” রোহিতের এই জাতীয় কথাবার্তা শুনে অনেকেই আশ্চর্য হয়ে গিয়েছেন।

ভারতের তরফ থেকে শেষ দিনে নায়ক হয়ে ওঠার সুযোগ ছিল বিরাট কোহলি ও অজিঙ্কা রাহানের সামনে। কিন্তু দুজনেই দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো নিজেদের উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেন। শুভমান গিল আইপিএলে এবং দেশের মাটিতে দুর্বল শ্রীলঙ্কা এবং দ্বিতীয় সারির নিউজিল্যান্ড দলের বিরুদ্ধে যতটা মারাত্মক ছিলেন, এই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ছিলেন ততটাই অসহায়। রোহিত শর্মার ব্যাটিং নিয়ে আলাদা করে আর কথা খরচ করতে চাইছেন না কেউই।

কাউন্টি ক্রিকেট খেলে নিজেকে এই টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুত করা পূজারাও সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সিরাজ ও শামি নিজেদের কাজটা করেছেন কিন্তু কোনও সাহায্য পাননি তেমনভাবে বাকি বোলারদের কাছ থেকে। শ্রীকর ভরত ব্যাট হাতে একেবারেই দাগ কাটতে পারেননি। জাদেজা ভালো খেললেও গুরুত্বপূর্ণ সময় রুখে দাঁড়াতে পারলেন না। ফলে ফাইনালে যে ফলাফলটা প্রত্যাশিত ছিল প্রথম দিনের পর এমনটাই হয়েছে।

 


Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর