বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ফিল্ডিং করার সময় ক্যাচ ধরতে গিয়ে আঙ্গুলে লেগেছিল মারাত্মক চোট। সেই ছোটের কারণে অধিনায়কত্ব করতে মাঠেও থাকতে পারেননি। শেষ দিকটা লোকেশ রাহুলকেই অধিনায়কত্ব করতে হয়েছে। এরপর বিরাট কোহলি তার জায়গায় ওপেন করতে নেমেছিলেন। কিন্তু বেশিক্ষণ আড়ালে থাকতে পারেননি রোহিত শর্মা।
ভারতীয় দল আজ প্রথমে ৬৯ রানের মধ্যে বাংলাদেশের ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিল। কিন্তু তারপর মাহমদুল্লাহ এবং মেহেদী হাসান মিরাজের একটি দুর্দান্ত পার্টনারশিপ ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ৭৯ রান করেন অভিজ্ঞ মাহমদুল্লাহ। কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক ওডিআই শতরান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। উইকেট পেলেও অনেক রান খরচ করেছেন দুই পেসার সিরাজ এবং উমরান মালিক।তবে উইকেট তোলার পাশাপাশি কৃপণ বোলিং করেছিলেন স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দর। চোটের জন্য তিন ওভারের বেশি বল করতে পারেননি দীপক চাহার। বাংলাদেশ ভারতের সামনে জয়ের জন্য ২৭২ রানের লক্ষ্য রেখেছিল।
এমন অবস্থায় মাত্র ৬৫ রানে বিরাট কোহলির ধাওয়ান, লোকেশ রাহুল সহ চারটি উইকেট হারানোর পর ভারত ম্যাচে টিকে ছিল শ্রেয়স আইয়ার (৮২) ও অক্ষর প্যাটেলের (৫৬) অর্ধশতরানের জন্য। তারা দুজন আউট হলে মাঠে আসতেই হয় রোহিত শর্মাকে। একসময় সকলের মনে হচ্ছিল ভারত ম্যাচটি অনেক আগেই হেরে গিয়েছে।
কিন্তু তেমন জায়গা থেকে এসে ম্যাচের মোড় প্রায় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত। ভাঙ্গা আঙ্গুল নিয়েই অসাধারণ ব্যাটিং করেন তিনি। ২৮ বলে ৫১ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ভারতকে জয়ের অত্যন্ত কাছাকাছি এনে দিয়েছিলেন তিনি। আঙুলে আলাদা করে প্যাডিং লাগিয়ে ব্যাটিং করছিলেন হিটম্যান। ইবাদত, মেহেদীদের বেশ কিছুবার গ্যালারিতে ফেলেন তিনি।
কিন্তু শেষপর্যন্ত মাত্র পাঁচ রানের ব্যবধানে হারতে হয় ভারতকে। ৩ উইকেট নেন ইবাদত হোসেন, ২টি করে উইকেট মেহেদী হাসান ও সাকিব আল হাসানের। চোট নিয়েও রোহিত শর্মা যে লড়াইটা করলেন সেটার প্রশংসা করছেন অনেকেই। কিন্তু ধোনির পর দ্বিতীয় ভারত অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশের মাটিতে সিরিজ হারার লজ্জার রেকর্ড জুটলো রোহিতের কপালে।