বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে ভারতীয় দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কালকেই এই সিরিজ জিতে তৃতীয় ম্যাচে সেই ক্রিকেটারদের সুযোগ দিতে চাইবেন রোহিত শর্মা যারা এখনও অবধি খুব বেশি মাঠে নামার সুযোগ পাননি। তিরুবনন্তপুরম এ প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি বেশ সহজেই জিতে নিয়েছিল ভারত।
দলে একাধিক চোট-আঘাতের সমস্যা রয়েছে। তাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা প্রত্যেককেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুত রাখতে চান, যাতে প্রয়োজন পড়লে কারোর মাঠে নেমে মানিয়ে নিতে আলাদা করে সময় না লাগে। এরই মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একটি বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেলেছে ভারতীয় দল।
গতবছর ভারতীয় দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একেবারেই ভাল পারফরম্যান্স করতে পারেনি। নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের কাছে হেরে তারা গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গিয়েছিল। এরপরে বিরাট কোহলি অধিনায়কত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। কিন্তু ভারতের বছরটা ভালো না গেলেও পাকিস্তানের গতবছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পারফরম্যান্স চোখে পড়ার মতো ছিল। সেই সঙ্গে গোটা বছরজুড়েই বাবররা ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন।
এই সময় পাকিস্তান দল এক বছরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ড করে ফেলেছিল। ২০২১ সালে পাকিস্তান মোট ২০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতেছিল। সেই রেকর্ডটাই চলতি বছরে ভেঙে দিয়েছে ভারত। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে তিরুবনন্তপুরম হয়েছিল ভারতের চলতি বছরের ২১ তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়। মজার ব্যাপার এখনো চলতি বছরে ভারত কমপক্ষে ৮ থেকে ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে।
তবে এই সব রেকর্ড বা পরিসংখ্যান সমস্তকিছুই অর্থহীন হয়ে যাবে যদি ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল অবধি না পৌঁছতে পারে। শেষবার ভারত কোন আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে ছিল আজ থেকে আট বছর আগে ২০১৪ সালে। শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে সেবার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ভারতের। এবারে রোহিত শর্মার ভারত কি ১৫ বছরের খরা কাটাতে পারবে? উত্তরটা আপাতত ভবিষ্যতের গর্ভে।