বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার আইসিসি ইভেন্টের ব্যর্থতা ভারতীয় ক্রিকেটভক্তদের মনকে ব্যথিত করেছে। সেই ব্যর্থতার ইতিহাস কাটিয়ে এবার চলতি বছরের শেষ বড় প্রতিযোগিতা, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে ভক্তদের মনের ক্ষততে আনন্দের প্রলেপ লাগাতে চান রোহিত শর্মারা। কত বছর ভারতীয় দল বিরাট কোহলির নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। এই বছর যাতে সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি না হয় সেটা নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য ভারতীয় দলের।
গতবার ভারতীয় দল কেন ব্যর্থ হয়েছিল সেই কারণ বিশ্লেষণ করতে গেলে উঠে আসছে একটি গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব। গতবার ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের টপ অর্ডারের ব্যাটাররা অত্যন্ত রক্ষণাত্মক নীতি নিয়ে ব্যাটিং করতে নামতো। ফলে বেশ কিছুক্ষণ রান হচ্ছে না এমন অবস্থায় উইকেট হারালে চাপ অত্যন্ত বেশি বেড়ে যেত ভারতীয় মিডল অর্ডারের ওপর।
কিন্তু রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে ভারতীয় টপ অর্ডারের ব্যাটিংয়ের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন এসেছে। লোকেশ রাহুলরা এখন প্রথম ওভার থেকেই বিপক্ষ বোলারদের ওপর আক্রমণ করাটা স্বাভাবিক নিয়ম বানিয়ে ফেলেছেন। মর্ডান ডে ক্রিকেটে যে সমস্ত দল টি-টোয়েন্টিতে সফলতা পেয়েছে তাদের মধ্যেও এই অ্যাপ্রোচ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সে গতবছরের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াই হোক বা ২০১৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ক্যারিবিয়ান দল, সকল ক্ষেত্রেই দলের ওপেনাররা প্রথম ওভার থেকে আক্রমণ করে বিপক্ষ বোলিংয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করার পন্থা অবলম্বন করে গিয়েছিলেন।
এইরকম আক্রমনাত্মক রণনীতির একটা অসুবিধাও রয়েছে। শুরুতেই যদি ওপেনাররা বা টপ অর্ডারের ব্যাটাররা প্যাভিলিয়নে ফিরে যান অতিরিক্ত আক্রমণ করতে গিয়ে তাহলে দলের রণনীতিতে পরিবর্তন আনতে হয়। ভারতের সৌভাগ্য যে এই সময়ে ভারতীয় দলের মিডল অর্ডারের সূর্যকুমার যাদব এবং হার্দিক পান্ডিয়া এমন দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারে পরিণত হয়েছেন যারা যেকোনো পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে ব্যাটিং করতে পারেন। প্রথমদিকে দু’তিনটে উইকেট দ্রুত চলে গেলেও এই মিডল অর্ডার ব্যাটাররা সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
আর ভারতের ওপেনাররা যদি দলকে একটি ভালো স্টার্ট দিতে সক্ষম হন সেক্ষেত্রে হার্দিক এবং সূর্যকুমার দুজনেই সেই ভালো ভিতের ওপর পাহাড়প্রমাণ রানের ইমারত গড়ার ক্ষমতা রাখেন। আর পরিস্থিতির প্রয়োজনে যদি হার্দিক বা সূর্যকুমার যাদবকে নিজেদের অনেকক্ষণ গুটিয়ে রাখতে হয় তাহলে ৬ বা ৭ নম্বরে দীনেশ কার্তিকের উপস্থিতি ভারতীয় দলের কাছে একটা বড় ভরসা হিসেবে উপস্থিত হতে পারে। এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এখন পরিণত হয়েছেন এক দুর্দান্ত ফিনিশ আরে যিনি ইনিংসের শেষ দিকে সাত থেকে আটটি বলে দলের মূল স্কোরে একটা বড় ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন।