বাংলাহান্ট ডেস্ক: কিছুদিন আগেই ব্যক্তিগত জীবনে আর্থিক দুর্দশার কথা জানিয়েছিলেন রানি মুখার্জি। একটা সময় রীতিমতো স্ট্রাগল করে এই উচ্চতায় পৌঁছেছেন তিনি। আজ যারা বলিউডের (bollywood) মাথায় বসে রয়েছেন, খোঁজ নিলে দেখা যাবে তাদের অনেকেই একসময় সাধারন মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত পরিবারের ছিলেন। পরিশ্রম করে পেয়েছেন আজকের আশাতীত সাফল্য। গল্পটা আলাদা নয় পরিচালক রোহিত শেট্টিরও (rohit shetty)।
বলিউডের প্রথম সারির পরিচালকদের মধ্যে অন্যতম রোহিত শেট্টি। অক্ষয় কুমার থেকে শাহরুখ খান বা অজয় দেবগণ বলিউড সুপারস্টারদের সকলের সঙ্গেই কাজ করেছেন তিনি। গোলমাল থেকে সূর্যবংশী পর্যন্ত বহু হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। কিন্তু আজ যিনি কোটি কোটি টাকার ছবি তৈরি করেন তিনি বলিউডে সফর শুরু করেছিলেন মাত্র ৩৫ টাকা দিয়ে!
সম্প্রতি মুম্বইয়ের এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে কেরিয়ারের শুরুর দিকে নিজের স্ট্রাগলের কথা বলেন রোহিত। তাঁর কথার সঙ্গে রানির বলা কথার অনেকটাই মিল। রোহিত বলেন, “সফরটা সোজা ছিল না সত্যি বলতে। লোকে ভাবে আমি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মানুষ বলে সবকিছু অনেক সহজ ছিল। আমি যখন কাজ শুরু করলাম, তখন মাত্র ৩৫ টাকা পেতাম। অনেক সময় এমনো হত যে খাওয়া বা যাওয়া আসার ভাড়ার মধ্যে একটা বাছতে হত আমাকে। কখনো খাবারটা ছেড়ে দিতাম আবার কখনো ভাড়া। সেই থেকে সেট পর্যন্ত হেঁটে যাওয়া শুরু করলাম।”
পরিচালক জানান, প্রথমে তাঁরা স্যান্টা ক্রুজে থাকতেন। কিন্তু আর্থিক অবস্থার অবনতির ফলে দাহিসারে দিদার বাড়িতে চলে যান তাঁরা। অনেকটা দূর হয়ে যাওয়ায় হেঁটেই যাওয়া আসা শুরু করেন রোহিত শেট্টি। মালাড থেকে আন্ধেরি পর্যন্ত হাঁটতেন তিনি। চড়া রোদের মধ্যেও প্রায় দেড় দু ঘন্টার রাস্তা হাঁটতেন। রাস্তাগুলো হাতের তালুর মতো চেনা হয়ে গিয়েছে তাঁর। এখন নিজের গাড়িতে বসে ড্রাইভারকে নির্দেশ দেন রোহিত শেট্টি।
প্রসঙ্গত, সদ্য মুক্তি পেয়েছে রোহিত পরিচালিত ‘সূর্যবংশী’। ২৫০ কোটির মাইলফলক পেরিয়ে গিয়েছে এই ছবি। আগামীতে অজয় দেবগণ এর সঙ্গে ‘সিংঘম ৩’ এবং রণবীর সিংয়ের সঙ্গে ‘সার্কাস’ ছবি পরিচালনা করতে দেখা । রোহিত শেট্টিকে।