বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দিল্লীর নেতৃত্বদের নাম থাকলেও, বিজেপির (bjp) তারকা প্রচারকের তালিকায় ঠাঁই পেলেন না বাংলার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Roopa Ganguly)। তবে কি গৌরব বিশ্বাসকে সমর্থনের জেরেই রূপাকে এমন ভাবে ‘টাইট’ দিল দল, এমনটাও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে বিজেপির অন্দরে।
আগামী ১৯ শে ডিসেম্বর কলকাতা পুরভোটের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে সকল রাজনৈতিক দলগুলো। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয়েছে প্রচার কাজ। সেইসঙ্গে চলছে তারকা সদস্যদের দিয়েও চলছে প্রচারের ঢলও। সম্প্রতি বিজেপির পক্ষ থেকে প্রকাশ করা ১৯ জন তারকা প্রচারকের মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামকৃপাল যাদব ও গিরিরাজ সিং, দিল্লী বিজেপির সভাপতি মনোজ তিওয়ারির নামও। কিন্তু সেখানে দেখা গেল না রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। যা নিয়ে কিছুটা জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে রাজনীতির অন্দরে।
শুধু তাই নয়, দেখা গেল না সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu) ও রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Raju Banerjee) নামও। সায়ন্তন বসুর বিষয়ে সেভাবে কোন খবর পাওয়া না গেলেও, জানা গিয়েছে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ের বিয়ে থাকার কারণে তিনি এখন ব্যস্ত রয়েছেন।
তবে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম না থাকা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। কারণ কিছুদিন আগেই আসন্ন পুরভোট নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আর সেই বৈঠক ছেড়েই বেরিয়ে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্যসভার এই সাংসদ। তিনি রাজ্য সভাপতির কাছে প্রশ্ন করেছিলেন, তাঁকে কেন এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। আর তারপরই ভার্চুয়াল বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি।
শুধু তাই নয়, বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে তিনি কলকাতা পুরসভার বিজেপি কো অর্ডিনেটর তথা ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি তিস্তা বিশ্বাসের মৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলে একটি বিস্ফোরক পোস্টও করেছিলেন। তিস্তা বিশ্বাসের মৃত্যুকে দুর্ঘটনা নয়, একটি হত্যা বলেই মনে করেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তাঁর স্বামীকে প্রার্থী না করায় কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশও করেছিলেন।
একাংশের ধারণা রূপার এই বিদ্রোহ ভালোভাবে নেয়নি বিজেপি শিবির। সেই কারণেই তারকা প্রচারকের তালিকায় নাম নেই রূপার। আবার একাংশের ধারণা, নিজে থেকেই হয়ত এই প্রচারের অংশ হতে চাননি রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।