বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela) শেষ হয়েছে এক মাস হয়ে গেল। রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Roopa Ganguly) সিরিয়ালটি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন তারও আগে। কিন্তু বিতর্ক চলছে এখনো। সাত বছর পর অভিনয় তথা ছোটপর্দায় ফিরে কয়েক মাস হতে না হতেই সিরিয়াল ছেড়ে বেরিয়ে যান রূপা। স্বাভাবিক ভাবেই বিস্তর জলঘোলা হয় বিষয়টি নিয়ে। পারস্পরিক দোষারোপের পালা সাঙ্গ হয়ে সিরিয়াল মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেলেও অভিনেত্রী বিতর্কেই আটকে গিয়েছেন।
এর আগে রুপা গঙ্গোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে যেমনটা বলা হয়েছিল তেমন ভাবে চিত্রায়ণ হয়নি তাঁর চরিত্রটি। বিথীকা মিত্র ওরফে বিথী মাসি হয়ে দিনের পর দিন ‘নোংরামি’ করতে রুচিতে বাঁধছিল বলেই তিনি সিরিয়াল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু যেখানে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ই ছিলেন সিরিয়ালের ইউএসপি, সেখানে তিনিই মাঝপথে ছেড়ে দেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এবার ফের নিজের সপক্ষে যুক্তি সাজালেন অভিনেত্রী।
সংবাদ মাধ্যমকে রূপা জানান, নির্মাতাদের কাছে তাঁর শর্ত ছিল অন্তত সাতটি পর্বের চিত্রনাট্য আগাম বলতে হবে তাঁকে। তাহলে তাঁর প্রস্তুতি নিতে সুবিধা হয়। কিন্তু সাতটা পর্ব তো দূরে থাক, দিনের দিন শুটিংয়ের সময়ে তাঁকে বলা হত, পাশ থেকে সংলাপ বলা হবে। তিনি সেটা শুনে শুনে বলে দেবেন।
রূপা আরো বলেন, তাঁর চরিত্র বিথীকা মিত্রের শুরু শেষ সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছুই জানানো হয়নি। আট ঘন্টা কাজ হবে বলে ১১-১২ ঘন্টা কাজ করানো হয়েছে। কোনো কথাই রাখেননি নির্মাতারা। এখানেই থামেননি রূপা। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন, তাঁকে তাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল শুরু থেকেই। তাঁর নাম ব্যবহার করে শুরুতে টিআরপি তুলে তারপর এমন পরিস্থিতি তৈরি করার পরিকল্পনা ছিল যাতে তিনি নিজেই সিরিয়াল ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।
এ বিষয়ে রূপা একটি উদাহরণ দিয়ে জানান, সিরিয়ালের শুটিংয়ের সুবিধার জন্য একটি ফ্রিজ নিয়ে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু প্রথমত কেউ ফ্রিজটা নিতেই চাইছিলেন না। তারপরে তাঁকে বলা হয়েছিল তিনি নাকি নিজে ঠাণ্ডা জল খাবেন বলে ফ্রিজ এনেছেন।
রূপা এর আগেও একাধিক বার বলেছেন, তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে এখনকার তথাকথিত বাংলা সিরিয়ালগুলির মতো হবে না মেয়েবেলা। কিন্তু তেমনটা হয়নি। একটি ঘটনার কথা জানান রূপা। একবার রাস্তায় এক মহিলা ও তার দুই ছোট সন্তানের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। ছোট বাচ্চাটি রূপাকে ‘বিথী মাসি’ বলে চিনতে পারে এবং বলে ওঠে, ‘তুমি মেয়েটাকে ভালবাসো না। তুমি শুধু তোমার ছেলেকে ভালবাসো’।
রূপা বলেন, তিনি অবাক হয়ে গিয়েছিলেন এটা দেখে যে ওইটুকু একটা বাচ্চার মনেও কীভাবে নেতিবাচকতা প্রভাব ফেলেছে। অভিনেত্রী স্পষ্ট বলেন, নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতে তাঁর কোনো সমস্যা নেই। কেরিয়ারে অনেক নেতিবাচক চরিত্রই করেছেন তিনি। কিন্তু বিথী মাসির একটি চরিত্র যা মানুষের মনে ঘৃণা ছড়াচ্ছে এমন একটি চরিত্র করতে রাজি হননি তিনি।