বাংলাহান্ট ডেস্ক: টেলিপাড়ার জনপ্রিয়তম অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন রুক্মা রায় (Rooqma Roy)। এই মুহূর্তে জি বাংলার ‘লালকুঠি’তে অনামিকার চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। তবে শুধু খুব ভাল অভিনেত্রীই নন, রুক্মার গানের গলাও খুব সুন্দর। এর আগে ‘দাদাগিরি’তে তাঁর কণ্ঠে ‘নয়নো ওয়ালে নে’ শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন দর্শকরা। লালকুঠির প্রোমোতেও ‘নিশিরাত বাঁকা চাঁদ’ শুনিয়ে শিরশিরে ভয়ের অনুভূতি জাগিয়েছিলেন রুক্মা।
তবে রুক্মা যে এত বড় ছুপা রুস্তম তা জানতেন না কেউই। বেশিরভাগ প্রতিভার প্রকাশ ঘটেইনি তাঁর। রবিবার দিদি নাম্বার ওয়ান এর পর্বে এসে নিজের একটা নতুন গুণের পরিচয় দিলেন তিনি। রুক্মা খুব ভাল মিমিক্রিও করতে পারেন। এদিন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে প্রবীণ অভিনেত্রী অনামিকা সাহার (Anamika Saha) নকল করে দেখালেন।
লালকুঠিতে ঠাম্মির চরিত্রে অভিনয় করছেন অনামিকা সাহা। তবে সমস্ত পর্বে দেখা যায় না তাঁকে। এদিন লালকুঠি পরিবারের তরফে দিদি নাম্বার ওয়ানে খেলতে এসেছিলেন রুক্মা, শৌর্য ওরফে ঋতজিৎ চট্টোপাধ্যায়, মহুয়া অর্থাৎ প্রিয়ম চক্রবর্তী এবং বিশ্ব ওরফে শুভজিৎ কর।
শোতে ঠাম্মির প্রসঙ্গ তুলে রচনা জিজ্ঞাসা করেন, ঠাম্মি কী বলল আসার সময়ে? উত্তরে অবিকল অনামিকা সাহার কণ্ঠ এবং কথা বলার ধরণ নকল করে রুক্মা বলে ওঠেন, জিতে আসতে হবে। আর আসার সময়ে একটু ফল নিয়ে আসতে হবে। পাশ থেকে ঋতজিৎ উসকে দেন, কী ফল? রুক্মা একই ভাবে মিমিক্রি করে বলেন, বেদানা, শাঁকালু কত দিন খাইনি গো!
https://www.instagram.com/reel/Cgo042pqOmW/?igshid=YmMyMTA2M2Y=
রুক্মার মিমিক্রি শুনে হেসে লুটোপুটি খাওয়ার জোগাড় রচনার। তারপরেই অবশ্য হাত জোড় করে প্রবীণ অভিনেত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন রুক্মা, ঋতজিৎ। এদিন লালকুঠি পরিবার ছাড়াও এসেছিলেন খেলনা বাড়ি সিরিয়ালের তরফে ইন্দ্রজিৎ মিতুল এবং তুবড়ি সিরিয়ালের তরফে তুবড়ি আর অর্জুন। শেষমেষ জেতেন রুক্মা এবং ঋতজিৎ।