বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার রাউরকেল্লায় নির্মিত হলো বিশ্বের বৃহত্তম হকি স্টেডিয়াম। এই মঞ্চেই আগামী ১৩ই জানুয়ারি থেকে হকি বিশ্বকাপের একাধিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে, যখন এই স্টেডিয়ামটি ৫ই জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয়, তখন সেই মুহূর্তটি ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের ক্রীড়া ইতিহাসে একটি স্মরণীয় মুহূর্ততে পরিণত হয়। স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয়েছে ভারতের বীর স্বাধীনতা সংগ্রামী বিরসা মুন্ডার নামে। স্টেডিয়ামের উদ্বোধন উপলক্ষে এখানে প্রথম হকি ম্যাচ হয় ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার জুনিয়র পুরুষ দলের মধ্যে।
জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষে ভুবনেশ্বর এবং রাউরকেল্লায় শুরু হতে চলা ১৫ তম হকি বিশ্বকাপ জিততে পারলে ওড়িশা রাজ্য সরকার ভারতীয় পুরুষ হকি দলের প্রত্যেক সদস্যদের ১ কোটি টাকা করে পুরস্কার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক বিরসা মুন্ডা হকি স্টেডিয়াম উদ্বোধন করার সময়তেই এই ঘোষণা করেছিলেন। হকি বিশ্বকাপের ৪৪টি ম্যাচের ২০টি এখানেই খেলা হবে। ২০,০০০ মানুষ একসাথে এই স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখতে সক্ষম। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নবীন পট্টনায়েক স্টেডিয়ামটি তৈরির অনুমোদন দেন।
ভারত এর আগে ১৯৭৫ সালে অজিত পাল সিংয়ের নেতৃত্বে দল কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হকি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে ২-১ ফলে পরাজিত করে বিশ্বকাপের ট্রফি জিতেছিল। এই নিয়ে ভারত চতুর্থবারের জন্য হকি বিশ্বকাপ আয়োজন করছে। এর আগে ১৯৮২-তে মুম্বাইয়ে, ২০১০-এ দিল্লিতে এবং ২০১৮-তে ভুবনেশ্বরে হকি বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছে।
পট্টনায়েক ভারতীয় দলের সাথে দেখা করার সময় বলেছিলেন, “বিরসা মুন্ডা স্টেডিয়াম ভারতকে হকি পাওয়ার হাউসে পরিণত করতে সহায়ক হবে। এটি দেশ ও বিশ্বের অনেক প্রতিশ্রুতিমান খেলোয়াড়কে হকিকে সম্বল করে এগোনোর বিষয়ে অনুপ্রাণিত করবে। স্টেডিয়ামটি হবে জাতির কাছে ওড়িশার সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার।”
স্টেডিয়ামের পর পট্টনায়েক স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে ২২৫ টি ঘর বিশিষ্ট বিশ্বকাপ ভিলেজও উদ্বোধন করেন। এটিতে হকি খেলোয়াড় এবং দলগুলির সাপোর্ট স্টাফরা বসবাস করবে। স্টেডিয়ামের কিছু উল্লেখযোগ্য বৈ<span;>শিষ্ট্যের মধ্যে ড্রেসিং রুম এবং সংলগ্ন অনুশীলন পিচের মধ্যে একটি সংযোগকারী টানেলটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এছাড়া প্রত্যেক দলের জন্য একটি পৃথক ফিটনেস সেন্টার, একটি সুইমিং পুলও রয়েছে।