বাংলাহান্ট ডেস্ক: দেশে করোনার (corona) তৃতীয় ঢেউ থাবা বসিয়েছে। সঙ্গী নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের আতঙ্ক। নতুন করে ফিরছে বিধি নিষেধ। এমতাবস্থায় বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে বিভিন্ন বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিগুলিকে। একাধিক রাজ্যে সিনেমা হল বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। যেগুলো খোলা সেখানে অর্ধেক শতাংশ দর্শক বসানোর নির্দেশ জারি হয়েছে।
নতুন বছরের একাধিক ছবির নির্মাতারা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বহু ছবির হয় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, নয়তো স্থগিত রাখা হয়েছে। এই তালিকাতেই রয়েছে পরিচালক এস এস রাজামৌলির ‘আর আর আর’ (RRR)। আগামী ৭ জানুয়ারি মুক্তির কথা ছিল এই তেলুগু ছবির। সেই মতোই চলছিল প্রচার পর্ব।
ছবিতে আলিয়া ভাট ও অজয় দেবগণ থাকায় বলিউডেও প্রচারের কমতি রাখা হয়নি। কিন্তু আচমকাই করোনার তৃতীয় ঢেউ আসায় বাধ্য হয়ে ছবির মুক্তি স্থগিত রাখতে হয়েছে। এর জেরে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন ছবি নির্মাতারা। সূত্রের খবর মানলে, এই ছবির প্রচারের জন্যই প্রায় ১৮-২০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।
ছবির মুক্তি নিয়ে নিশ্চিত থাকায় প্রযোজক থেকে শুরু করে অভিনেতা অভিনেত্রীদেরও তারিখ বুক করে রেখেছিলেন পরিচালক রাজামৌলি। সব মিলিয়ে ছবির মুক্তি স্থগিত হয়ে যাওয়ায় কপালে হাত পড়েছে তাঁর। উল্লেখ্য, এর আগেও একটা বড় অঙ্কের খরচ হয়েছে ছবি নির্মাতাদের। অভিনেতা রাম চরণ ও তারকের অনুরাগীদের অন্ধ্র প্রদেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য খরচ পড়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা।
আসলে ছবির দুই মুখ্য চরিত্রের অভিনেতাদের অন্ধ্র প্রদেশের বাইরে তেমন অনুরাগী নেই। কিন্তু ছবির প্রচারের জন্য বিগ বস, কপিল শর্মা শোয়ের মতো শোতে গিয়েছেন তাঁরা। সঙ্গে অবশ্য ‘ত্রাতা’ হিসাবে আলিয়া ছিলেন। তাই দুই অভিনেতার সম্মান বাঁচানোর জন্য অন্ধ্র প্রদেশ থেকে অনুরাগীদের নিয়ে আসা হয়েছিল মুম্বই। তারা বিনামূল্যে বিলাসবহুল হোটেলে থেকেছেন, খেয়েছেন। বদলে শোতে গিয়ে প্রাণ খুলে নায়কদের জন্য হাততালি দিতে হয়েছে এই অনুরাগীদের।
কিন্তু এখন সব হিসাব ভেস্তে গিয়েছে রাজামৌলির। প্রভাব পড়েছে রাম চরণ ও জুনিয়র এনটিআরের উপরেও। ছবির মুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় দুজনেই নাকি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। জানিয়ে রাখি, প্রথমে ২০২১ এর ১৩ অক্টোবর ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য পিছিয়ে দিতে হয় মুক্তির তারিখ। এবারেও বাধা পড়ল। শেষমেষ কবে মুক্তি পাবে ‘আর আর আর’ তা এখনো নিশ্চিত নয়।