বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে এই মুহূর্তে বিধ্বস্ত কেন্দ্র সরকার। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সমালোচিত হতে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। অন্যদিকে বাংলায় নির্বাচন হারের পর আগামী বছর উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের দিকেই চোখ রয়েছে সকলের। একদিকে বড় রাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে মোটামুটি ভাবে ফলাফল ভালো করলেও তা আশানুরূপ হয়নি বিজেপির। অন্যদিকে আগামী উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের প্রভাব পড়লে যথেষ্ট চাপের মুখে পড়তে হতে পারে বিজেপি সরকারকে। তার উপর বিজ্ঞানীদের অনুমান অনুযায়ী আসতে চলেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। সেই কারণেই এবার রণনীতি ঠিক করতে বৈঠকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ।
আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মনিপুর, পাঞ্জাব এবং গোয়ায় কিভাবে মুখ ধরে রাখবে বিজেপি নেতৃত্ব এখন সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ। যদিও এই বৈঠককে মোটেই রাজনীতির রং দিতে রাজি নয় আরএসএস। বরং তাদের মতে প্রত্যেক মাসেই যেভাবে বৈঠকে বসে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। তেমনভাবেই মোহন ভাগবতের নেতৃত্বে বৈঠকে বসতে চলেছে তারা। আলাদা করে এই বৈঠকের রাজনৈতিক কোন উদ্দেশ্য নেই। দেশজুড়ে এই মুহূর্তে চলছে কোভিড। আর সেই কারণে গত কয়েক মাসে উচ্চ নেতৃত্ব সঙ্গে কোন বৈঠকে বসতে পারেনি আরএসএস। সেই কারণেই এবার বৈঠকে বসতে চলেছে তারা। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী আলোচনার বিষয় হিসেবে উঠে আসতে চলেছে, পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী এবং বিপর্যয়ের ত্রাণ পরিষেবা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলা নির্বাচনের আগেও পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন মোহন ভাগবত এবং সামনে থেকে রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে উঠে না হলেও আরএসএস এর থেকে অনেক বিষয়ই যে মতামত পায় কেন্দ্র সরকার এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এই মুহূর্তে পরপর বিপর্যয়ে ভেঙে পড়েছে অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও। ফলত বাড়ছে বেকারত্ব। আর এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত সংঘ পরিবার। আর সেই কারণেই এবার বিজেপিকে সাহায্য করতে রণনীতি গঠন করতে চাইছে তারা। স্ট্র্যাটেজিক লড়াই হিসেবে আগামী দিনে সবচেয়ে বড় নির্বাচনী লড়াই হতে চলেছে উত্তরপ্রদেশে। বিশেষত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা জয়ের পর আশার আলো দেখতে শুরু করেছে অখিলেশ যাদবরাও। সেই সূত্র ধরেই এবার আগে থেকে ব্লু প্রিন্ট তৈরি করতে মরিয়া সংঘ পরিবার। ভাইয়াজি যোশী এবং জত্তত্রেয় হোসাবলে এই দুই বরিষ্ঠ নেতাকে আপাতত দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ গিয়ে পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে পর্যালোচনাও করে এসেছেন তারা।
কিন্তু এই মুহূর্তে একদিকে যখন বাড়ছে কোভিড এবং অন্যদিকে গঙ্গায় ভাসছে মৃতদেহ খুব একটা স্বস্তিতে নেই উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। আর সেই কারণেই আগামী নির্বাচনের আগে রণনীতি সাজিয়ে নেওয়া ভীষন জরুরী। এক আরএসএস নেতা বক্তব্য অনুযায়ী, দুই নেতাই উত্তরপ্রদেশে ঘুরে এসেছেন। পরিস্থিতি সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবেই তারা অবগত। আর তাই সমস্যাগুলি দূরীকরণ করতে তারা বদ্ধপরিকর।