বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত মাসে শুরু হয়েছে নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রো (Metro) পরিষেবা। বাণিজ্যিকভাবে পরিষেবা শুরু হলেও খুব একটা যাত্রী হচ্ছে না এই রুটে। তবে এই করিডোরের বাকি অংশের কাজ চলছে। পরীক্ষামূলকভাবে আগামী শনিবার থেকে মেট্রো চালানো হবে রুবি-বেলেঘাটার মধ্যে।
অপরদিকে স্বাভাবিকভাবেই বাণিজ্যিকভাবে মেট্রো চলাচল করবে নিউ গড়িয়া-রুবির মধ্যে। মেট্রো কর্তৃপক্ষের (Metro Railway) আশা বেলেঘাটা পর্যন্ত পরিষেবা সম্প্রসারিত হলে যাত্রী সংখ্যা বাড়তে পারে। এই রুটের লাইনে আপাতত ট্রায়াল রান শুরু হচ্ছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষ বলছে এর মানেই যে বাণিজ্যিকভাবে পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে তা কিন্তু নয়।
আরোও পড়ুন : ‘যা সন্দেহ তাই’, কার সাথে কথা হয়েছিল কালীঘাটের কাকুর? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ঘুরল মোড়
চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি জনককুমার গর্গ খুব একটা খুশি নন এই অংশের কাজ নিয়ে। পর্যবেক্ষণ করার সময় তিনি প্রশ্ন তোলেন একাধিক বিষয় নিয়ে। তারপর থেকে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ নিজেদের গাফিলতি ঢাকার জন্য দায় ঠেলে দিচ্ছে ট্রাফিকের দিকে। কিছুদিন আগে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
আরোও পড়ুন : বাংলা থেকে এক ট্রেনে নৈনিতাল, ভাড়াও অনেক কম! গরমের ছুটিতে বড় উপহার রেলের, রইল সময়সূচী
তাতে জানানো হয়, রেল সেফটি কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন বেলেঘাটা স্টেশনে যাত্রীরা যাতে নিরাপদে প্রবেশ করতে পারেন তার জন্য বেলেঘাটা স্টেশনে সিগন্যাল ওভারল্যাপ এবং ফুট ওভার ব্রিজের জন্য নির্দিষ্ট পরিধির বাইরে নির্মাণ করতে হবে অতিরিক্ত ৯০ মিটার ভায়াডাক্ট। তবে ‘ট্রাফিক ব্লক’ করার অনুমতি মিলছে না ইএম বাইপাসে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে পুলিশের সাথে একাধিক বৈঠকের পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই থমকে আছে কাজ। অন্যদিকে, কলকাতা পুলিশ বার্তা দিয়ে জানিয়েছে এই অভিযোগ সঠিক নয়। মেট্রোর কাজের জন্য প্রথম থেকেই পুলিশের পক্ষ থেকে সাহায্য করা হচ্ছে। একাধিক রাস্তা ব্লক করে মেট্রো কর্তৃপক্ষ সময়মতো কাজ শেষ করতে পারছে না।
৬০ দিনের কাজ ১২৭ দিন পেরিয়ে গেলেও মেট্রো শেষ করতে পারেনি। বাইপাসের যাত্রীদের তাই বেশ সমস্যা হচ্ছে। কমিশনার বিনীত কুমার গোয়েল গত ২৭ফেব্রুয়ারি লালবাজারে একটি বৈঠক ডাকেন। তবে সেই বৈঠকে হাজির হয়নি আরভিএনএলের কোনো প্রতিনিধি। তাই আপাতত ট্রায়াল রান শুরু হলেও, জটিলতা না কাটা পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে এই লাইনে পরিষেবা শুরু হওয়ার আশা নেই।