বাংলা হান্ট ডেস্ক : সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ফের সুর চড়ালো ভারত। সন্ত্রাসের কোনও বিভেদ হয় না। উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, যেকোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপেরই তীব্র সমালোচনা করা উচিত। এমনই দাবি করলেন রাষ্ট্রসংঘে (United Nations) ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ (Ruchira Kamboj)। সন্ত্রাসের সমর্থনে কোন যুক্তি দেওয়া উচিত নয় বলেই মনে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি।
সন্ত্রাসবাদ রুখতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ করা যেতে পারে, সেই সংক্রান্ত একটি সম্মেলনেই এই কথা বলেন কম্বোজ। এদিন তিনি বলেন, ‘জঙ্গি কার্যকলাপের কারণ খতিয়ে দেখে সন্ত্রাসবাদীদের শ্রেণিবিভাগ করা ঠিক নয়। দক্ষিণপন্থী বা বামপন্থী হিংসা-এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করে আসলে কিছু শ্রেণির মানুষের স্বার্থসিদ্ধি হয়।’
রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে আমরা-ওরা ভাগ করতে গেলে আমরা আরও ২০ বছর পিছিয়ে যাব। তাই সন্ত্রাসবাদী হামলার বিভাজন করার সময়ে আমাদের যথেষ্ট সতর্ক থাকা দরকার। কারণ এই বিভাজনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হবে গণতন্ত্রের আদর্শই।’
এই বক্তৃতায় নাম না করে পাকিস্তানকেও বিঁধেছেন কম্বোজ। সম্মেলনে তিনি বলেন, বেশ কিছু দেশ জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়। তাদের চিহ্নিত করে সেই দেশগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সেই সঙ্গে বলেছেন, হিন্দুবিদ্বেষী হোক বা ইসলাম বিদ্বেষী- ভারত সব ধরনের হামলার নিন্দা করে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়তে হবে সকলকেই।
দু’দিন আগেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিতর্কে কাশ্মীর ইস্যু তোলায় পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল জারদারি ভুট্টোর নিন্দায় সরব হয় ভারত। বিলাওয়াল যখন নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর ইস্যু তোলেন, সেই সময় সেখানে নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা চলছিল। সেখানেই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে ভারত জানায়, এটা সম্পূর্ণ ‘প্রতিহিংসাপরায়ণ এবং মিথ্যা প্রচার’। যা জবাব দেওয়ারও ‘অযোগ্য’। কম্বোজ বলেন, ‘আমি আমার বক্তব্য শেষ করার আগে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর সম্পর্কে পাকিস্তানের প্রতিনিধির ছেলেমানুষিপূর্ণ, ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য খারিজ করছি।’