বাংলাহান্ট ডেস্ক: রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh) এবং রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় (Rahul Arunoday Banerjee), বাংলার দুই শিল্পী যারা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কোনো ভয়, দ্বিধা ছাড়াই সরব হয়েছেন। আগামীতে অনেকদিন পর বড়পর্দায় জুটি বাঁধতে চলেছেন রাহুল রুদ্রনীল। জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের আসন্ন ছবি ‘আকাশ অংশত মেঘলা’ ছবিতে দেখা যাবে দুজনকে। ছবির গল্পেও সমাজের একটা দিক আর তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা রাজনীতির প্রতিচ্ছবি উঠে আসবে।
রসময় ও অনির্বাণ ছবির গল্পের মূলে রয়েছে এই দুই চরিত্র যাদের ভূমিকিয় অভিনয় করতে দেখা যাবে রুদ্রনীল ও রাহুলকে। ঝাঁ চকচকে শহুরে আদবকায়দার গল্প নয়। এই ছবিতে পরিচালক ক্যামেরায় ধরেছেন নিম্নমধ্যবিত্তের রোজনামচা, তাদের জীবনের ওঠাপড়ার কাহিনি। গত ২৫ বছরে বাংলার আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক ছবি ফুটে উঠবে এই সিনেমায়।
ছবির গল্প অনুযায়ী, হঠাৎ করে একদিন কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যায় দুই মুখ্য চরিত্রের। পরিবার পরিজন নিয়ে কীভাবে দু মুঠো খেয়ে দিন চালাবে সেটা ভেবেই মাথায় হাত পড়ে রসময়ের। ইউনিয়নকে নেতৃত্ব দিয়ে কিছুদিন মিটিং মিছিল করেও কোনো লাভ না হওয়ায় শেষে রাস্তার ধারে চপের দোকান দেয় রসময়।
এক সময়ের সক্রিয় ইউনিয়ন সদস্য রসময়ের চোখের সামনে রাজনৈতিক নেতা ও কারখানার মালিকের চক্রান্ত দেখে রাজনৈতিক বিশ্বাস ধুলোয় মিশে যায়। তারপর একদিন তার চপের দোকানের সামনেই সাজানো গোছানো এক তেলেভাজার দোকান দেয় তার পরিচিত একজন।
কারখানা বন্ধের প্রভাব পড়ে অনির্বাণের জীবনেও। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের কাছে পড়াশোনাটাই তখন হয়ে ওঠে বিলাসিতা। অথচ চাকরিও পাওয়ার উপায় নেই। যোগ্যতা থাকলেও মাথার উপরে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হাত না থাকায় বারবার শুকনো মুখেই ফিরে আসতে হয় অনির্বাণকে। বিপর্যয় নেমে আসে তার প্রেমিকার জীবনেও।
দুজন আলাদা মানুষ যাদের জীবনকাহিনিও আলাদা হতে পারত। কিন্তু হঠাৎ করে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা রসময় ও অনির্বাণের জীবন এক সুতোয় গেঁথে দিল। হঠাৎ একদিন দেখাও হয় দুজনের। তারপর কী হয়? অংশত মেঘলা আকাশ পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে যায় নাকি মেঘ সরিয়ে আলোর খোঁজ পায় দুজন হতভাগ্য মানুষ? আগামী ৫ অগাস্ট মিলবে তার উত্তর।
ছবিতে রসময়ের চরিত্রে রয়েছেন রুদ্রনীল আর অনির্বাণের চরিত্রে রাহুল। দুজনের মতেই, এমন ভিন্ন ধারার চ্যালেঞ্জিং চরিত্র যেকোনো অভিনেতার কাছেই খুব লোভনীয়। রাহুলের কথায়, এ বছরটা তাঁর কাছে সৌভাগ্য ডেকে এনেছে। কারণ পরপর অনেকগুলো চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন তিনি, যেগুলো একে অন্যের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। অনির্বাণের চরিত্রটা খুবই গভীর। তাই মনোযোগ দিয়ে অভিনয় করতে হয়েছে বলে জানান রাহুল।